কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা জানার জন্য অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে
থাকেন। কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানি প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক নিয়ে
থাকে।আপনি যদি কুয়েত কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে
আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়ুন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসাই গিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আজকের এই
আর্টিকেলটি সম্পুর্ন মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি কুয়েত কোম্পানি ভিসা এবং কুয়েত সকল
কাজের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্র : কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানুন
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৫
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা তা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। উন্নত দেশ
গুলোর মধ্যে একটি দেশ হলো কুয়েত। এই দেশে প্রতি বছর বিভিন্ন কাজের জন্য হাজার
হাজার শ্রমিক নিয়ে থাকে। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ
থেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার শ্রমিক বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্য কুয়েত গিয়ে থাকে।
বিশেষ করে কুয়েত বড় বড় কোম্পানি গুলো প্রতি বছর অনেক কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : মালয়েশিয়া ভিসা চেক পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে
অনেকেই কুয়েত কোম্পানি ভিসাই যেতে চান কিন্তু কোম্পানি ভিসাই বেতন কত তা সম্পর্কে
জানেন না।আসলে বেতন নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপরে। আপনি যদি
কোম্পানিকে ভালো কাজ উপহার দিতে পারেন তবে আপনি বেশি টাকা বেতন পাবেন।তবে সাধারণত
সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যায়। এবং সর্বোচ্চ আপনার কাজের ওপর নির্ভর
করে ১থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়। নিচে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন
কত তালিকা দেওয়া হলো :
ক্রমিক নম্বর | কুয়েতের কাজ | বেতন ( কুয়েত দিনার ) | বেতন ( বাংলাদেশী টাকা ) |
---|---|---|---|
০১ | শ্রমিক হেল্পার | ১০০ দিনার | ৩৫,৫০০ টাকা |
০২ | ওয়েল্ডার | ১১০ দিনার | ৩৮,৫০০ টাকা |
০৩ | প্লাম্বার | ১১০ দিনার | ৩৮,৫০০ টাকা |
০৪ | ডেলিভারি বয় | ১২৫ দিনার | ৪৪,৩৭৫ টাকা |
০৫ | ইলেক্ট্রশিয়ান | ১২৫ দিনার | ৪৪,৩৭৫ টাকা |
০৬ | ড্রাইভিং | ১৩৫ দিনার | ৪৮,১৭৫ টাকা |
০৭ | এসি মেকানিক | ১৩৫ দিনার | ৪৮,১৭৫ টাকা |
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায়সমূহ
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায়সমূহ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। অনেকেই
কোম্পানি ভিসাই কুয়েত যেতে চান কিন্তু কোম্পানি ভিসা কিভাবে পাবেন তা সম্পর্কে
জানেন না।আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনি মাত্র দুই মাসেই কুয়েত কোম্পানি
ভিসাই যেতে পারবেন।কুয়েত কোম্পানি ভিসাই সাধারণত দুই ভাবে যাওয়া যায়।
সরকারি ভাবে এবং বেসরকারি ভাবে। আপনি যদি সরকারি ভাবে কোম্পানি ভিসাই কুয়েত যান
তাহলে আপনার খরচ কম হবে। এবং বেসরকারি ভাবে কোম্পানি ভিসাই কুয়েত গেলে আপনাকে
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতে পারে। আপনি যদি সরকারি
ভাবে কুয়েত যেতে চান তাহলে আপনাকে বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট বোয়েসেলে নজর রাখতে
হবে।
এটি হলো বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ওয়েবসাইট যেখান থেকে সরকারি ভাবে কোম্পানি
ভিসাই কুয়েত কর্মী পাঠানো হয়।তবে আপনি চাইলে নিজে নিজে অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানির
সাথে যোগাযোগ করে কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু কোম্পানি ভিসা
আবেদন করার জন্য আপনার অবশ্য কাজের অফার লেটার লাগবে। আপনি যদি কাজের ওয়ার্ক
পারমিট অফার লেটার পান তার পর কুয়েত দূতাবাসে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
কুয়েত একটি উন্নত দেশ যা প্রতি বছর হাজার হাজার কর্মী নিয়ে থাকে। আপনি যদি কুয়েত
কোম্পানি ভিসাই যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র ঠিক রাখতে হবে। আপনার
যদি কাগজপত্র ঠিক না থাকে তাহলে আপনাকে কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য উপযুক্ত মনে
করা হবে না এবং আপনাকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা দেওয়া হবে না। কুয়েত কোম্পানি পেতে কি
কি কাগজপত্র লাগে তা নিচে দেওয়া হলো :
- আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট
- কাজের চুক্তিপত্র
- আপনার জীবন বৃত্তান্ত
- কাজের অনুমতি পত্র
- ভিসা আবেদন পত্র
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা প্রমান পত্র (যদি থাকে)
- শিক্ষা গত যোগ্যতার সাটিফিকেট ( যদি থাকে)
- মেডিকেল সাটিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- কাজের প্রশিক্ষণ সাটিফিকেট ( যদি থাকে)
- করোনা ভ্যাকসিন সাটিফিকেট ( যদি থাকে)
উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো আপনার কুয়েত কোম্পানি ভিসাই কাজের জন্য প্রয়োজন
পড়বে। তাই আপনার উক্ত কাগজপত্র যদি ঠিক না থাকে বা আপনার কাজে না থাকে তাহলে উক্ত
কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে আপনার কাছেই রাখুন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আপনি যদি বৈধ ভাবে কুয়েত কোম্পানি ভিসাই যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করা লাগবে। এটি সাধারণত কুয়েত শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে করতে হয়।আপনি যদি কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার বিভাগ বা শহরের কাছাকাছি কোনো এম্বাসিতে গিয়ে যোগাযোগ করে একটি ফর্ম নিন।
এবং ফর্মে আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। এর পর আপনার পাসপোর্ট ও পূরণকৃত ফর্ম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন। জমা দেওয়া হয়ে গেলে আপনার কুয়েত ভিসার কাজ শুরু হয়ে যাবে। আপনি যদি সকল কাজ সরকারি ভাবে করেন তাহলে খুব সহজেই অল্প টাকায় আপনি কুয়েত কোম্পানি ভিসা যেতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা
কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা লাগে তা সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই বিভিন্ন জায়গায়
খোজাখুজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না।কোনো সমস্যা নেই আজকে আমি আপনাকে
জানাবো কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা লাগে। কুয়েত অনেক বড়ো বড়ো কোম্পানি রয়েছে।
যেখানে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্য গিয়ে
থাকে।
বেশির ভাগ মানুষের কোম্পানি ভিসাই যাওয়ার আগ্রহের কারণ হলো আপনার থাকা এবং খাওয়ার
খরচ সম্পুর্ন কোম্পানি বহন করবে।এতে আপনার অনেক টাকা বেঁচে যাবে। আপনি যদি কুয়েত
কোম্পানি ভিসাই যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরে উল্লেখ করা কাগজপত্র গুলো ঠিক
রেখে আবেদন করতে হবে।ইতিমধ্যে জেনেছেন কুয়েত আপনি দুই রকম ভাবে যেতে পারবেন।
সরকারি আর বেসরকারি।
আপনি যদি বেসরকারি ভাবে কুয়েত যেতে চান তাহলে আপনাকে বেসরকারি এনজিওগুলোকে অনেক
টাকা নিতে হতে পারে। এছাড়াও অনেক দালাল চক্র রয়েছে যারা আপনার থেকে উচ্চ টাকা
নিয়ে প্রতারণা করতে পারে। আপনি যদি সরকারি ভাবে কোম্পানি ভিসাই কুয়েত যেতে চান
তাহলে আপনার বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বয়স কত লাগে
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বয়স কত লাগে তা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। আপনি যদি কুয়েত
কোম্পানি ভিসা আসতে চান তাহলে আপনার বয়স অবশ্যই ২১ বছরের ওপরে হতে হবে। তবে
সর্বনিম্ন ১৮ বছরের নিচে কাউকে কোম্পানি ভিসা দেওয়া হয় না। সাধারণ শ্রমিক
পুরুষদের সাধারণ ২১ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এছাড়াও দক্ষ টেকনিশিয়ান ও
ইন্জিনিয়ার দেরকে ২১ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত নেওয়া হয়। তবে শর্ত অনুযায়ী। এছাড়াও
হাউজমেড নারী কর্মীদের ২৩ বছর থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত নেওয়া হয়।
শেষ কথা : কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে কুয়েত কোম্পানি ভিসা
পাবেন এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কেও জানিয়েছি।এছাড়াও কুয়েত
কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা দাম কত তা
সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
আরো পড়ুন : সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে
আপনি যদি কুয়েত কোম্পানি ভিসাই যেতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি সকল বিষয় গুলো
বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার যদি একটুও উপকারে
আসে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রিয় পাঠক আজকের মতো এই পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।
দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url