১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস আমরা অনেকেই জানি না। ১৪ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে নামে পরিচিত। এটি শুধু বাংলাদেশেই
নয় সারা বিশ্বে এ দিনটি উদযাপন করা হয়। আজকে আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করবো।
১৪ ফেব্রুয়ারি বহুদিনের ভালোবাসার আবেগ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটায়।
ফেব্রুয়ারি মাসে কয়েকটি দিবস আছে । আপনি যদি এসব দিবস সম্পর্কে না জেনে থাকেন
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র : ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস
১৪ ফেব্রুয়ারিবাংলাদেশে কি দিবস অনেকেই জানতে চেয়েছেন । ১৪ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে নামে পরিচিত পেয়েছে। এই ১৪
ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালন করা হয়। অনেকেই হয়তো বলবেন ভালোবাসতে আবার দিন লাগে
নাকি। সেটা যখন ইচ্ছে তখনই ভালাোবাসা যায়।
আরো পড়ুন :
২০২৫ সালের বাংলা ইংরেজি আরবি ক্যালেন্ডার
এই কথাটি যদিও যুক্তিসম্মত কিন্তু প্রিয়মানুষ গুলো কোনো এক বিশেষ দিনে একটু আলাদা
করে ভালোবাসতে চায়।আর সেই প্রিয়মানুষগুলোকে একটু আলাদা করে ভালোবাসার জন্য
ফেব্রুয়ারি সারা মাস ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ভালোবাসা কখনো শেষ বা
ফুরিয়ে যায় না । এটি দুজন মানুষের মনের মিলন।
বিশেষ করে এই ফেব্রুয়ারি মাসে তরুণরা একটু উদ্দীপনার সাথে চলে । তাদের প্রিয়
মানুষগুলোর সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসে অনেক কয়েকটি দিবস
আছে । আপনি ১৪ ফেব্রুয়ারি ও আরো অন্য অন্য দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে
পুরো পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
১৪ ফেব্রুয়ারির ইতিহাস
১৪ ফেব্রুয়ারির ইতিহাস আমরা অনেকেই জানি না। যদিও আমরা অনেকেই ১৪ ফেব্রুয়ারি
দিবস সম্পর্কে জানি কিন্তু এর ইতিহাস সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অনেক বছর আগে
রোমান নামের এক সম্রাট ছিলো।তার অনেক বড় সম্রাজ্য ছিলো। এই ভালোবাসা দিবস বা
ভ্যালেন্টাইন্স ডে সেই রোমান সাধু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এই দিনটির মূল ছিলেন।
আরো পড়ুন :
SEO শিখে মাসে লাখ টাকা আয়
সে দিনটি ছিলো ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস ভালোবাসা দিবস । প্রেম এর
জন্য তিনি যে আত্মত্যাগ করেছেন তা যুগ যুগ ধরে ভালোবাসার প্রতীক হয়ে রয়েছে। সেই
থেকেই ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বড়ো বড়ো
রাষ্ট্রগুলোতে যেমন : আমেরিকা এবং ইউরোপে আগে এই দিনটি শুধু রোমান্টিক ভালোবাসার
উদযাপন করা হতো ।
কিন্তু বর্তমানে এই ১৪ ফেব্রুয়ারী দিনটি বিভিন্ন সম্পর্কের ভালবাসা উদযাপনের দিন
হয়ে উঠেছে। এখন বর্তমানে সারা পৃথিবীতেই এই ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে
পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে এই ১৪ ফেব্রুয়ারি নব্বই দশকের দিকে জনপ্রিয় ভাবে
উদযাপিত শুরু হয়েছে। এই দিনটি তরুণ প্রজন্ম বিশেষভাবে পালন করে।
৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি কোন কোন দিবস জেনে নিন
৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি কোন কোন দিবস আমরা অনেকেই জানি না। ফেব্রুয়ারি মাস মানেই
ভালোবাসার ভরপুর। এ মাসে প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসার কিছু দিবস
পালিত হয়। অনেকেই বলবেন ভালোবাসার জন্য আলাদা করে দিন করা লাগে নাকি। যখন ইচ্ছে
তখনই ভালোবাসা যায়।
আরো পড়ুন :
বাংলা আর্টিকেল লিখে মাসে লাখ টাকা আয়
তবে আপনার কথা কিছুটা যুক্তিসম্মত হলেও প্রিয় মানুষগুলো আলাদা দিনে আলাদা
ভালোবাসা পেতে চায়। তার জন্য পুরো ফেব্রুয়ারি মাসে ভালোবাসা দিবস রয়েছে । আপনি
যদি ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পুরো পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
৭ ফেব্রুয়ারি- রোজ ডে
৭ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে রোজ ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ভালোবাসার ডে গুলো শুরু
হয় ফুল দিয়ে। এই রোজ ডে তে শুধু প্রেমিক - প্রেমিকারাই ফুল দেয় না। কেউ কেউ তাদের
প্রিয় মানুষকে এই দিনে ফুল দিয়ে এই রোজ ডে এর শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন। যে ফুল
ভালোবাসে সে মনের দিক থেকে অনেক সুন্দর একজন মানুষ হয়। এই রোজ ডে তে প্রিয়
মানুষকে ফুল দেওয়ার আগে অবশ্যই ফুল এর সঠিক কালার নির্বাচন করুন। কারণ একেক
কালারের একেক অর্থ।
৮ ফেব্রুয়ারি - প্রপোজ ডে
৮ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে প্রপোজ ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এটি ভালোবাসা দিবসের
দ্বিতীয় দিন । এই দিনে প্রমিক - প্রেমিকারা তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে। এই দিন
সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক যাত্রার দিনও বলা হয়ে থাকে। আপনি কাউকে ভালোবাসেন কিন্তু
বলতে পারতেছেন না আপনি চাইলে এই প্রপোজ ডে তে আপনার মনের কথা খুলে বলতে পারেন।
৯ফেব্রুয়ারি - চকলেট ডে
সারা বিশ্বে ৯ ফেব্রুয়ারি চকলেট ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এটি ভালোবাসার তৃতীয়
দিন । এই চকলেট ডে তে কেবল প্রেমিক প্রেমিকারাই চকলেট দেয়। এমনটা না প্রিয়
মানুষকে অনেক মানুষ চকলেট গিফট দেয় । এতে ভালোবাসাটা চকলেটের মতোই মিষ্টি হয়ে
যাই।
১০ ফেব্রুয়ারি - টেডি ডে
১০ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে টেডি ডে হিসেবে পালিত হয়। টেডি বিয়ার উপহার দেওয়ার
দিনকেই টেডি ডে বলা হয়। এটি ভালোবাসার চতুর্থ দিন। এদিনে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকারা
টেডি উপহার দেন এমনটা নয়।কেউ কেউ তাদের প্রিয় মানুষকে এই টেডি উপহার দিয়ে থাকে।
বাজারে বিভিন্ন দোকানে ছোট-বড় বিভিন্ন রকমের টেডি পাওয়া যায়।
১১ ফেব্রুয়ারি - প্রমিজ ডে
১১ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে প্রমিজ ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এটি ভালোবাসা দিবসের
পঞ্চম দিন। যে কোনো সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে থাকা জরুরি । এতে সম্পর্ক
মজবুত থাকে। এই দিনে সেই প্রমিজ করা হয়ে থাকে। এই দিনে প্রিজ মানুষের কাছে প্রমিজ
করে।
১২ ফেব্রুয়ারি - হাগ ডে
১২ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে হাগ ডে হিসেবে পালিত হয় । এই দিনে প্রিয় মানুষটিকে
আপনি সারাজীবন ভালোবাসবেন বুকে জড়িয়ে রাখবেন এসব জানান। এতে সম্পর্ক সুন্দর
থাকবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি - কিস ডে
১৩ ফেব্রুয়ারি কিস ডে হিসেবে পালিত হয়। এটি ভালেবাসা দিবসের সপ্তম দিন । এ দিনে
প্রমিক - প্রেমিকারা জরিয়ে ধরে কিস দিয়ে থাকেন। একে আরেক ভাবে চুম্বনও বলা হয়ে
থাকে । তবে জোরপূর্বক নয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি - ভ্যালেন্টাইনস ডে
১৪ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে পালিত হয়। এটি সপ্তাহের শেষ
দিন ও বড়ো। সপ্তাহের সব দিন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো দিন এইটা। এই দিনে সবাই তাদের
প্রিয় মানুষকে ভালোবাসায় জরিয়ে রাখে। তবে এটা তরুণ তরুণিদের মধ্যে বেশি দেখা
যায়।
১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পিকচার
১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পিকচার অনেকেই দেখতে চেয়েছিলেন। আপনি
যদি ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন
তাহলে পুরো পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এখন আমরা ১৪
ফেব্রুয়ারির কিছু পিকচার দেখবো।
১৪ফেব্রুয়ারি দিনটি কিভাবে উদযাপিত হয়
১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি কিভাবে উদযাপিত হয় অনেকেই জানতে চেয়েছেন । ১৪ ফেব্রুয়ারি
একটি ভালো বাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই দিনটি বিভিন্ন ভাবে পালিত হয়।
নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম : শুধু সামনা সামনি যে ভালোভাবে সব প্রকাশ করলে
ভালোবাসা হয় বিষয়টি এমন নয়। বর্তমান ডিজিটাল এই যুগে ভালোবাসা বিভিন্ন সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে আপনি প্রকাশ করতে পারেন। এখানে রয়েছে ফেসবুক, টিকটক,
টুইটার, ইউটিউব, ইত্যাদি । আপনি চাইলে পহেলা ফাল্গুনের উদযাপন ও ১৪ ফেব্রুয়ারির
ভালোবাসা এই মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন।
ফুলের বাজারে ভিড় : ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস তা আমরা ইতি
মধ্যে জেনে গিয়েছি। এই ভালোবাসা দিবসে ফুলের বাজারে অনেক ভিড় হয়। কারণ ফুল
হলো ভালোবাসার প্রতীক। অন্য অন্য ফুলের চাহিদা থাকলেও গোলাপ ফুলের চাহিদা সবচেয়ে
বেশি থাকে। এসব ফুল দিয়ে প্রিয় মানুষ তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে।
ক্যাম্পাসে উৎসব : এই ১৪ ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন স্কুল , কলেজ , ও
বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভালোবাসার ছড়াছড়ি লেগে থাকে। প্রিয় মানুষ গুলোকে ভালোবাসার
কথা বলে। এই দিনটি বিভিন্ন জায়গায় বড়ো পরিসরে গান বাজনার আয়োজন করা হয়ে থাকে ।
বিশেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এই সব জায়গায় এই দিনে বড়ো বড়ো অনুষ্ঠান
করা হয়।
কপি শপ ও রেস্তোরাঁয় বিশেষ আয়োজন : ১৪ই ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সেদিন সারাদিন
কপি শপ ও রেস্তোরাঁ গুলোতে বিশেষ ডিসকাউন্ট দেয়া হয়। এখানে প্রমিক - প্রমিকারা
সুন্দর সময় পার করে। কেউ কেউ এই দিনে তাদের প্রিয় মানুষ গুলোর সাথেও সময় পার করে
এই সব জায়গায়।
১৪ফেব্রুয়ারির সমালোচনা
১৪ ফেব্রুয়ারির সমালোচনা অনেকেই করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারির একটু
সমালোচনা রয়েছে। অনেকেই এসব পছন্দ করে না। কেউ কেউ মনে করে বাংলা সংস্কৃতির সাথে
এসব জায় না। আবার অনেকেই এসব বিলাসিতা মনে করেন। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব বিষয়
সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে সবাই এটি পালন করে। বিশেষ করে একটি বাংলাদেশে কিছু মানুষ অপ্রয়োজনে মনে করে।
কারণ এই মাসে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পহেলা ফাল্গুন উদযাপন করা হয়।
তবে এখন দুটি উৎসব ই একসাথে পালন করা হচ্ছে।
শেষ কথা : ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস আমরা ইতি মধ্যে জেনেছি। ১৪ ফেব্রুয়ারি
শুধু ভালোবাসা দিবস হিসেবেই পালিত হয় না। এই মাসেই বাংলা আরো কয়েকটি দিবস রয়েছে
তা আপনাদের মাঝে ইতি মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের সকল
দিবসগুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি ।
১৪ ফেব্রুয়ারিশুধু রোমান্টিক দিন নয় বসন্তের প্রাণ ও রয়েছে এই ১৪ ফেব্রুয়ারিতে
তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন । আশা আজকের সকল বিষয় গুলো সুন্দর ভাবে বুঝতে
পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলটি আপনার যদি একটিও ভালে লেগে থাকে তাহলে একটি সুন্দর
কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আপনার একটা কমেন্ট আমাকে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে লিখেত উৎসাহিত করে । প্রিয় পাঠক আজ
এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url