ব্যাংক একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম জানুন

ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসরণ করে আপনি যদি একটা ব্যাংক একাউন্ট খোলেন তাহলে প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি একটি সঠিক ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আমরা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ব্যাংক-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম আছে । নিয়ম গুলো আমাদের সবার জানা উচিত। আমাদের দেশে ছোট বড়ো সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় আমাদের লেনদেন করতে হয়। তাহলে চলুন একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।

পেজ সূচিপত্র : ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানার আগে আপনাকে জানতে হবে। আপনি কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন।বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংক ৪৭ টি রয়েছে। আরো অনেক গুলো এনজিও ও অন্য অন্য মালিকানা ব্যাংক রয়েছে । আপনাকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার আগে বুঝতে হবে আপনি কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট করবেন।
এমন কোনো ব্যাংক একাউন্ট করুন যেখানে আপনি সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। এটা আপনার বাড়ির আসেপাশে হতে পারে। তার পর ব্যাংক এর কোয়ালিটির দিকটা ভালো করে দেখতে হবে যেমন সার্ভিস, চার্জ, ইত্যাদি কেমন। আপনি যদি সুদ মুক্ত ব্যাংকিং সেবা পেতে চান তাহলে আমার মতে আমি বলবো ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য।

আমরা যারা মুসলিম আছি তাদের ইসলামে সুদ হারাম করেছে। তাই অন্য অন্য ব্যাংক এ লেন দেন করলে আপনাকে সুদ ভোগ করতে হবে।ইসলামি ব্যাংক একটি সুদ মুক্ত ব্যাংক। তারপরও আপনার সুবিধা অনুযায়ী আপনি ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন। এই সময়ে আপনি যে পেশাতেই থাকেন না কেন আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকা খুবই জুরুরি।

আমাদের দেশে এখন যে কোনো লেনদেন সহজে ব্যাংকের মাধ্যমে করা যায়। এজন্য আপনার যদি একটি ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনি সমাজ থেকে এক ধাপ পিছিয়ে থাকলেন । আজকে আমরা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ব্যাংক একাউন্ট ফর্ম

ব্যাংকে ফরম পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলেন তাহলে আপনাকে ফরম পূরণ করতে হবে। 
ব্যাংক-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম

বাংলাদেশের ব্যাংক ফরম দুই ধরনের হয়।
  • ব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্ম
  • প্রতিষ্ঠানিক একাউন্ট ফর্ম
ব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্মঃএটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য করা হয়। যে একাউন্ট গুলোর ধরন বা টাইটেল কোনো ব্যক্তির নামে হয় তাকে ব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্ম বলে। এই ধরনের ব্যক্তিগত ফর্ম একাধিক মানুষের নামে আলাদা আলাদা ধর্ম করা যায়।
প্রাতিষ্ঠানিক একাউন্টঃযে ধরনের ফর্মে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য, শিরোনাম , টাইটেল কোনো ব্যক্তির নামে হয় না। এগুলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক ফর্ম এগুলোতে প্রতিষ্টানের তথ্য দিয়ে একাউন্ট করতে হয়। সেটা যে কোনো বড়ো প্রতিষ্ঠান হতে পারে।এগুলো অব্যক্তিগত হিসেবে বিবেচিত হয় ।

ব্যাংক একাউন্টের ধরন

ব্যাংক একাউন্ট খোলার আগে আপনাকে ব্যাংকের ধরন জানতে হবে। ব্যাংকের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংক কাঠামো একই কিন্তু নিয়মের কিছু পরিবর্তন হতে পারে। ব্যাংক একাউন্টকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায় নিচে তা আলোচনা করা হলো :

১। চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্ট

কারেন্ট একাউন্ট এটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য খোলা হয় থাকে। এই কারেন্ট একাউন্ট এ আপনি দিনে যতো বার ইচ্ছে টাকা লেদদেন করতে পারবেন। আপনার যখন ইচ্ছে টাকা রাখতে পারবেন আবার যখন ইচ্ছে টাকা তুলতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ব্যাংকে কোনো সুদ দিতে হয় না বছর শেষে অল্প কিছু চার্জ কেটে রাখে।
কারেন্ট একাউন্ট সাধারণ মানুষের জন্য নয়। এটি মুলত ব্যবসায়ীদের জন্য বেশি কাজে লাগে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় টাকা তুলতে হয়। সে জন্য কারেন্ট একাউন্ট ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই সুবিধা । যে কোন সময় যে কোনো পরিমান টাকা চাইলে ব্যাংক দিতে বাধ্য। ব্যবসায়ী, আইনজীবী, চাকরিজীবী, ডক্টর এদের জন্য এই কারেন্ট একাউন্ট ব্যাংকিং সেবা পেতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২। সঞ্চয়ী হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট

সঞ্চয় হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট যে কেউ খুলতে পারে।তবে এটি ব্যবসায়ীদের জন্য খুব একটা কাজে আসবে না। কারণ এই ধরনের একাউন্টে সপ্তাহে একবার বা দুইবার টাকা রাখা ও তুলা যায়।এই একাউন্টে আপনার জমাকৃত টাকার ওপর ৫%থেকে ৭% হারে সুদ দেওয়া হয়। তবে এই সুদের হার বিভিন্ন ব্যাংক ভেদে কম বেশি হতে পারে। 

এই একাউন্ট টাকা রাখলে আপনার টাকা নিরাপদ থাকবে। আপনি যদি সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনি যেই ব্যাংক এর সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান সেই ব্যাংক এর সাথে যোগাযোগ করলে তারাই আপনাকে সব বুঝিয়ে দিবে যে কোনটা আপনার জন্য বেশি ভালো হবে। তবে যদি আপনার প্রতিদিন টাকা লেনদেন করতে হয় তাহলে এই সেভিংস একাউন্ট না ব্যবহার করায় ভালো।

৩।ডিপিএস ডিপোজিট পেনশন স্কিম একাউন্ট

ডিপিএস একাউন্ট টাকা জমা রাখার জন্য খুলা হয়ে থাকে। ডিপিএস একাউন্ট যারা করে তাদের মোটামুটি জ্ঞানী মানুষ বলা হয়ে থাকে । কারণ তারা ভবিষ্যতের চিন্তা করেই চলছে। তাদের যতোটুকু প্রয়োজন খরচ করে বাকি টাকা জমা করে রাখছে। বর্তমানে বাড়িতে টাকা রাখা খুবই ও নিরাপত্তার কাজ। 

তাই মাস শেষে আপনার খরচ বাদে বাকি টাকা গুলো বিভিন্ন ভালো ব্যাংকে রেখে দিলে সেভ থাকলো। এছাড়াও মানুষ তাদের বিভিন্ন স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ডিপিএস করে। মানুষের বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন থাকে কেউ গাড়ি কিনবে, কেউ বাড়ি করবে, কেউ জমি কিনবে। এসব স্বপ্নপূরণ বাড়িতে টাকা থাকলে নাও হতে পারে। 

কারণ বাড়িতে টাকা থাকলে বিভিন্ন কাজে টাকা খরচ হয়ে যায়। এজন্য আপনি যদি একটি ডিপিএস একাউন্ট খুলেন সেখানে টাকা রেখে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। ডিপিএস একাউন্ট সাধারণত ৫বছর,১০বছর,১৫বছর,২০বছর মেয়াদী খোলা হয়ে থাকে। একটি ডিপিএস একাউন্ট করে আপনি ৫০০থেকে শুরু করে ১০,০০০পর্যন্ত ডিপিএস করতে পারবেন।

৫বছরের ডিপিএস করলে আপনাকে ১০%সুদ দেওয়া হবে। এবং ১০থেকে শুরু করে ২০বছর মেয়াদী ডিপিএস এর জন্য ১৫% হারে সুদ প্রদান করা হবে। তবে বিভিন্ন ব্যাংক এর প্রকার ভেদে এর কমবেশি হতে পারে। আপনি যদি ডিপিএস একাউন্ট করতে চান তাহলে যেই ব্যাংক এর সাথে যোগাযোগ করলে তারাই আপনাকে সব বুঝিয়ে দিবে।

৪। এফডিআর (ফিক্স ডিপোজিট রিসিট) একাউন্ট

এফডিআর হলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরিমাণ টাকা ডিপোজিট করা। এফডিআর এ আপনি টাকা রেখে একটা নিদিষ্ট সময় পর টাকা তুলতে পারবেন। যাদের অনেক টাকা আছে ভবিষ্যতের জন্য টাকা গুলো রেখে দিতে চাচ্ছেন। তারা এই এফডিআর একাউন্ট করতে পারেন। এই একাউন্টে আপনি নিদিষ্ট ৯%থেকে ১২% সুদ পেয়ে যাবেন। 

এই একাউন্টে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার এর নিচে ডিপোজিট করা যায় না। আপনার টাকা নিরাপদ রাখতে এখনই ডিপোজিট একাউন্ট খুলুন। আপনি চাইলে এর মাঝে আপনার ডিপোজিট ভেঙে ফেলতে পারেন কিন্তু এতে আপনি কোনো সুদ পাবেন না। আপনি যেই ব্যাংক এর অধিনে ডিপোজিট একাউন্ট করবেন সেই ব্যাংক এর সাথে যোগাযোগ করলে তারাই আপনাকে সব বুঝিয়ে দিবে।

ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ

একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমেই আপনি যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। এবং সেখান থেকে একটি ফর্ম নিয়ে আসতে হবে। সেই ফর্মটি সঠিক নিয়মে পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বলতে সমস্যা হলে ব্যাংকের কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

তারা সব বুঝিয়ে দিবে। ফর্মটি আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি আপনি বাসায় নিয়ে এসেওপূরণ করতে পারেন আবার ব্যাংকে বসেও পূরণ করতে পারেন।
  • অনেক ব্যাংক আছে স্পেসিমেন সিগনেচার কার্ড দিয়ে থাকে এটি ব্যাংকের অফিসার এর সামনে বসে স্বাক্ষর করতে হয়।
  • পরিচয়দানকারী হলো ওই ব্যাংকেরই কোন গ্রাহককে জিম্মাদার করা বা পরিচিত করা। এটা আপনার ভাইবোন বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন যে কেউ হতে পারে। এখানে শুধু পরিচয় নিয়ে একাউন্ট করে দেয়। অনেক সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের নিজস্ব একাউন্ট দিয়ে পরিচয় দিয়ে দেয়।যদিও বেশিরভাগ ব্যাংকে এ ধরনের জিম্মাদার এখন আর প্রয়োজন হয় না।
  • একাউন্ট মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২-৩কপি লাগবে যা অফিসার দ্বারা সত্যায়িত করা হতে হবে।
  • আপনার একাউন্টের যে নমিনি দিবে তার তার এক কপি ছবি লাগবে যা পরিচালক দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
  • আপনার ব্যক্তিগত একাউন্ট খোলার জন্য সর্ব প্রথম একজন নমিনি লাগবে । যে আপনার একাউন্ট এর জিম্মা নিবে সেই আপনার নমিনি।প্রাতিষ্ঠানিক একাউন্ট খোলার জন্য নাম ঠিকানা ও ছবি দিতে হয়।এখানে কোনো নমিনি লাগে না।
  • টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি হলো আপনার সব কিছু সঠিক ভাবে পূরণ করা হলে আপনার একাউন্ট চালু করার জন্য আপনার একাউন্ট এ কিছু টাকা জমা দিতে হবে। সঞ্চয় ও চলতি হিসাবের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক এ ১০০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত লাগে।এই টাকাগুলো আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে যাবে । শুধু চেক করার জন্য টাকাগুলো নেওয়া হয়।পরবর্তীতে আপনার টাকা লেনদেন করলে তার সাথে আপনি এই টাকা গুলো পেয়ে যাবেন।
  • অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারীর পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে। এক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার এলাকার কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র এর কাছ থেকে নাগরিক সনদপত্র গ্রহন হবে। যদি আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে আপনি স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ইত্যাদির যে কোন দুইটি ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হবে।

জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। জনতা ব্যাংক একটি জনপ্রিয় ব্যাংক। বেশির ভাগ মানুষ এই জনতা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করে। বর্তমান বিশ্বের সকল জায়গায় টাকা ব্যাংক এর মাধ্যমে লেনদেন করতে হয়। 

আর আপনার যদি একটি ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনি অনেক পিছিয়ে আছেন। জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার কিছু নিয়ম ও ধরন রয়েছে আমরা এগুলো এখন বিস্তারিত আলোচনা করবো। জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সর্বমোট চার প্রকার।
  • কারেন্ট একাউন্ট
  • সেভিং একাউন্ট
  • সেলারি একাউন্ট
  • স্টুডেন্ট একাউন্ট
প্রয়োজনীয় কাগজ
  • ব্যবসায়িক আইডেন্টিফাইড করা ডকুমেন্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি।
  • একজন নমিনি নির্বাচন করতে হবে। যে আপনার একাউন্ট এর জিম্মাদার। আপনার নমিনির পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি।

ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান বিশ্বে সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়। বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ডাক বাংলা ব্যাংক ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকে এখন মানুষ তাদের অর্জিত অর্থ নিশ্চিতভাবে লেনদেন করতে পারছে। 
ব্যাংক-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম
ডাচ বাংলা বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিখ্যাত ব্যাংক। সকল এলাকায় এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক খোলার কিছু নিয়ম প্রয়োজন ডকুমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে পুরো পোষ্টটি পড়ুন।নিয়ম অনুসারে ডাচ বাংলা ব্যাংকে পাঁচ ধরনের একাউন্ট করা যায়।
  •  কারেন্ট একাউন্ট
  • যৌথ একাউন্ট
  • সেভিং একাউন্ট
  • সেলারি একাউন্ট
  • স্টুডেন্ট একাউন্ট
প্রয়োজনীয় কাগজ
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর যে কোন একটির ফটোকপি।
  • বয়স ১৮ বেশি হতে হবে আর যদি ১৮ কম হয় তাহলে একাউন্ট ব্যবহারকারীর বাবা-মার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের চার কপি রঙিন ছবি লাগবে।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করতে একটি নমিনি লাগবে। সে আপনার একাউন্টের জিম্মাদার। নমিনির ভোটার আইডি কার্ডের এক কপি ফটোকপি ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা লাগবে। পরবর্তী টাকার সাথে টাকা গুলো পেয়ে যাবেন।
  • আপনার বাড়ির যেকোন বিলের কাগজ এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে। সেটা হতে পারে বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি।
  • ব্যবসায়ীদের ডাক বাংলা একাউন্ট করতে তাদের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার প্রদান করতে হবে।

ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম

ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলে আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের একমাত্র সুদ মুক্ত ব্যাংক হিসেবে ইসলামী ব্যাংক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যেহেতু ইসলামে সুদ হারাম করেছে। তাই আমরা যারা মুসলিম আছি মুসলিম হিসেবে টাকা লেনদেন করলে সুধ মুক্তভাবে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করতে পারি।

আপনারা যারা সুদ মুক্তভাবে ব্যাংকে টাকা লেনদেন করতে চান তারা নিঃসন্দেহে ইসলামী ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেন। এখন আমরা ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট করার নিয়ম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানব। ইসলামী ব্যাংক সর্বমোট চার প্রকার হয়।
  • আল ওয়াদিয়হা পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট
  • আল ওয়াদিয়হা কারেন্ট একাউন্ট
  • মুদারাবা স্পেশাল সেভিংস একাউন্ট
  • স্টুডেন্ট মুদারাবা সেভিংস একাউন্ট
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • একাউন্ট ব্যবহার কারীর জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর সম্পত্তি পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি।
  • ন্যূনতম জমা দেওয়ার মত এক হাজার টাকা।
  • বিভিন্ন বিল এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে। যেমন: বিদ্যুৎ বিল,পানি বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি বিল এর যে কোন একটি প্রদান করতে হবে।
  • এরপর আপনার একটি ফর্ম দেওয়া হবে। ফর্মটি অনলাইন ভিত্তিক পূরণ করতে হবে।

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে টাকা লেনদেন এ অগ্রণী ব্যাংক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।যারা অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। 

তারা পুরো পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজকে আমরা অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অগ্রণী ব্যাংকে মোট চার ধরনের একাউন্ট করা যায়।
  • কারেন্ট একাউন্ট
  • সেভিং একাউন্ট
  • সেলারি একাউন্ট
  • স্টুডেন্ট একাউন্ট
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • আপনার বাড়ির সঠিক ঠিকানা প্রমাণের জন্য বিভিন্ন বিলের কাগজ এর ফটোকপি। যেমন :বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি।
  • নমিনের জাতীয় পরিচয় পত্রের এক কপি ছবি এবং পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি।
  • ন্যূনতম ১০০০টাকা জমা দেওয়ার জন্য।

শেষ কথা : ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে ইতি মধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান। কিন্তু সঠিক তথ্য না পাওয়া ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারে না । আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

যদি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার একটুও উপকার হয় তাহলে একটা কমেন্ট করে যাবেন। আপনার একটি কমেন্ট আমাকে নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে শেখায় । প্রিয় পাঠক আজকে এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url