অল্প পুঁজিতে ১১টি লাভজনক ব্যবসা -অল্প পুঁজিতে ব্যবসা ২০২৪

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সত্যিই সম্ভব। এর জন্য আপনাকে সৃজনশক্তি ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। এসব ব্যবসাই যেহেতু পুঁজি কম তাই বাস্তবে আপনি আপনার শ্রমকে বিক্রি করবেন। তাই আপনাকে বিভিন্ন কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আজকে আমরা জানবো ,
অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করার কিছু শটকাট নিয়মও কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো । দক্ষতা ও শ্রম দিতে পারলে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়। চলুন অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো জেনে নি ।

পেজ সূচিপত্র : অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করা যায়। এই ব্যবসা গুলে করতে তেমন একটা টাকার প্রয়োজন হয় না বলে এই ব্যবসা গুলো অল্প পুঁজির ব্যবসা নামে পরিচিত পেয়েছে । এই ব্যবসাই আপনার দক্ষতা ও যতো শ্রম দিতে পারবেন ততো ব্যবসাই উন্নতি করতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশের আয়তনের দিক দিয়ে লোক সংখ্যা অধিক । 

এতে দেশে বেকারত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পড়াশোনা করেও অনেক ছেলে মেয়ে চাকরি না পেয়ে তারা ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করছে। কিছু ব্যবসা মানেই আমরা জানি অনেক পুঁজি লাগে। তাই নতুন অবস্থাই সাহস পাই না । তাদের দরকার অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা।
যেন অল্প টাকা দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে বড়ো ব্যবসাতে পরিণত করতে পারে। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আগে আপনার প্রচুর পরিমাণে কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কোনো কাজই ছোট করে দেখা যাবে না। 

তাহলেই আপনি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। আজকে আমরা কিছু ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো যেখান থেকে আপনি একটা ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে লাভবান হয়ে সাফল্যের শিখরে পোঁছাতে পারবেন।

একনজরে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া

  1. মুদি দোকানের ব্যবসা
  2. চায়ের দোকানের ব্যবসা
  3. অনলাইনে শিক্ষকতার ব্যবসা
  4. ফুলের দোকান এর ব্যবসা
  5. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর ব্যবসা
  6. অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট দিয়ে ব্যবসা
  7. মাছ চাষ করে ব্যবসা
  8. মোবাইল রিচার্জ এর দোকান দিয়ে ব্যবসা
  9. বিদেশি ভাষা শিক্ষা দিয়ে ব্যবসা
  10. কফি শপ দিয়ে ব্যবসা
  11. কসমেটিকস শপ দিয়ে ব্যবসা
ওপরে উল্লেখিত ব্যবসা গুলো করে অল্প পুঁজিতে কম সময়ে লাভবান হতে পারবেন।

কতো টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন

কতো টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন ব্যবসা করার জন্য জানা খুবই জুরুরি । বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী জনসংখ্যা বেশি হওয়াই অনেক ছেলে মেয়ে চাকরি না পেয়ে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ায় ব্যবসাতে ভালো উন্নত করতে পারে না।

আসলে ব্যবসা হলো একটি মুক্ত পেশা যেখানে নিজেই নিজের বস।এখানে কারো অধিনে কাজ করতে হয় না কারো কথা শুনতে হয় না। অনেকেই মনে করে ব্যবসা করতে হলে অনেক টাকা লাগবে । কিন্তু আসলে এটা ভুল অল্প পুঁজিতেও ব্যবসা করা যায় এর জন্য পরিশ্রম করতে হবে। 

অল্প পুঁজিতে অনেকগুলো ব্যবসা করা যায় এর মধ্যে উন্নতম হলো মুদি দোকান। মুদি দোকান গ্রামে বেশি চলে। দোকান করার আগে সঠিক জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। এসব ব্যবসা ৪০-৫০টাকা হলেই শুরু করা যায় । এর পর লাভের অংশ দিয়ে আস্তে আস্তে দোকান বাড়ানো যায়।

মুদি দোকানের ব্যবসা

মুদি দোকানের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। আপনার আমার দৈনন্দিন জীবনে যে পণ্য ক্রয় করতে হয় তার বেশির ভাগ পণ্যই এই মুদি দোকানে পাওয়া যায়। পরিসংখ্যান এ দেখা গেছে সুপারমার্কেট এবং নানান ধরনের মুদি দোকান থেকে ২০২০সালের বিক্রির পরিমান ছিলো ৭৪২বিলিয়ন ডলার। 
যা যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বাজারের প্রায় ৮৬%।আপনি যদি মুদি দোকান এর ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে অল্প পুঁজিতেও এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন । এর জন্য আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। প্রথমে আপনাকে মুদি দোকান এর জায়গা নির্ধারণ করতে হবে । 

এমন জায়গা নির্ধারণ করতে হবে যেখানে মানুষ যাতায়াত করে। সেটা হতে পারে বাজার বা অন্য কোনো স্থান । অল্প পুঁজিতে অতিরিক্ত লাভ করতে চাইলে আপনি শহরে দোকান দিতে পারেন কারণ এখানে মুদি দোকান কম থাকে। এবং আপনার বিক্রি ভালো হবে এবং লাভও ভালো হবে। 

দোকানে নতুন নতুন ভালো মানের পণ্য বিক্রি করতে হবে । ক্রেতাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। অল্প পুঁজিতেই পরিশ্রম করলে অনেক ভালো দোকান করা সম্ভব । পরে লাভের অংশ দিয়ে আস্তে আস্তে আপনার মন মতো দোকান বাড়াতে পারবেন।

চায়ের দোকানের ব্যবসা

চায়ের দোকান এর ব্যবসা বর্তমানে অনেক লাভবান একটি ব্যবসা। বর্তমানে মানুষ সবাই কম বেশি চা খায়। এই চা মানুষের ক্লান্তি দূর করে মন কে ফ্রেশ রাখে। চায়ের দোকানের ব্যবসার জন্য খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। চায়ের দোকান দেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে । 
অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা
এমন একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। যেখানে মানুষ প্রায় সব সময় যাতায়াত করে।চায়ের দোকান এর জন্য প্রথমে একটি দোকানঘর নিয়ে তার মধ্যে কিছু বেঞ্চ আর টেবিল রাখতে হবে। বেঞ্চ আর টেবিল গুলো অন্য দোকান এর থেকে ভালো দেখতে রং করতে পারেন।

এর পর ভালো মানের চা অল্প টাকায় বিক্রি করতে হবে তাহলে ব্যবসা বাড়বে। এর পর আপনি চাইলে চায়ের দোকানে আরো অন্য অন্য জিনিসও বিক্রি করতে পারেন। যেমন : বিস্কুট , চানাচুর , কলা, পাউরুটি,কেক,বুট ইত্যাদি । চায়ের দোকানে এসব বিক্রি করে ব্যবসাই বেশি লাভবান হতে পারেন।

অনলাইনে শিক্ষকতার ব্যবসা

অনলাইন শিক্ষকতা করেও অনেক লাভবান হওয়া যায় । বর্তমান বিশ্বের সকল ধরনের তথ্য এই অনলাইনে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় চাকরির অনেক সমস্যা হয়। আপনি যে বিষয় ভালো জানেন বা পারেন সে বিষয় অনলাইনে মানুষকে শিখিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 
সে বিষয়টি হতে পারে পড়াশোনা , ভাষা শিক্ষা, বাদ্যযন্ত , ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করে অনেক ভালো মানের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন একটি মোবাইল ফোন আর একটি অনলাইনে প্লাটফর্ম। এখানে আপনি যেমন টাকা ইনকাম করতে পারবেন তেমনি অনলাইনে আপনার একটি প্লাটফর্ম তৈরী হবে এবং অনেক সম্মান অর্জন করতে পারবেন।

ফুলের দোকানের ব্যবসা

ফুলের দোকান দিয়েও অল্প পুঁজিতে লাভবান হওয়া যায়। অল্প পুঁজিতে তাড়াতাড়ি success হওয়া যায় এই ফুলের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে। বর্তমানে ফুলের প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এর চাহিদার তুলনায় দোকান অনেক কম। এসব দোকান দিয়ে ব্যবসা করা যায় অনেক মানুষ জানেই না।

এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি দোকান নিতে হবে । এর পর দোকানে বিভিন্ন ধরনের ফুল নিবেন। প্রায় সব ধরনের ফুল রাখার চেষ্টা করবেন। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন কাজে ফুল ব্যবহার করে যেমন : বিয়ে বাড়িতে , জন্মদিন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুল এর তোড়া ব্যবহার হয়।

এই ব্যবসার জন্য আপনার একটু পরিশ্রম করতে হবে। ফুল কিনে দোকানে বসেই ফুল দিয়ে তোড়া তৈরি করে অল্প টাকায় বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। এর পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন ধরনের ফুল এর গাছ বিক্রি করতে পারেন।

গ্রাফিক ডিজাইনিং এর ব্যবসা

গ্রাফিক ডিজাইনিং হলো বর্তমান বিশ্বে সব জায়গায় দরকার হয়। আধুনিক এই বিশ্বে বিভিন্ন জিনিসপত্রের যে ডিজাইন করা হয়। এই সব গুলোই গ্রাফিক ডিজাইনিং দিয়ে করা হয়। বর্তমান সময়ে ভালো মানের চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় চাকরির অনেক সমস্যা ।

এর জন্য অনলাইনে বা অফলাইনে গ্রাফিক ডিজাইন এর বিভিন্ন ছোটখাটো কোর্স করে গ্রাফিক ডিজাইনিং শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনি একটি কম্পিউটার আর প্রয়োজনীয় কিছু সফটওয়্যার দিয়ে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

এই কাজের জন্য কোনো অফিস এর প্রয়োজন নেই আপনি আপনার বাড়িতে থেকেই কাজ করতে ও কাজ নিতে পারবেন। অনলাইনে বিভিন্ন মানুষের কাজ করতে পারবেন আবার কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েও কাজ করতে পারবেন।

অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট দিয়ে ব্যবসা

অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট দিয়ে ব্যবসা করা যায় । বতর্মান বিশ্ব প্রায় সব জায়গার প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ ফোন ব্যবহার করে। অনেক মানুষ আছে অনেক অলস মার্কেট এ যেতে চাই না আবার অনেক মানুষ আছে সারা দিন মা্র্কেট এ ঘোরাঘুরি করার পরও কিছু পছন্দ হয় না।

এর জন্য আপনি অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম এ ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকে মানুষের কাছে হোমডেলিভারী বা বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। এখান থেকে মানুষও তার সঠিক পোশাকটি পাবে এবং বিক্রি করে আপনার ও ব্যবসা হবে। মানুষকে সঠিক ও সুন্দর পোশাক দিলে সারাবছর ব্যবসা করতে পারবেন। মাত্র ১০,০০০ টাকা হলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ।

মাছ চাষ করে ব্যবসা

মাছ চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী জনসংখ্যা বেশি । এই জনমানুষ এর খাওয়ার জন্য মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে। কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি ।
অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা মানুষই কম বেশি মাছ পায়। এতে মাছের অনেক চাহিদা দেখা যায়। অল্প পুঁজিতে বুদ্ধি খাটিয়ে মাছ চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়।

মাছ চাষ করার কিছু নিয়ম আছে নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো :
  • মাছ চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে মাছের চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে।
  • বিভিন্ন জায়গায় মাছ চাষের ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে সেখান থেকে ট্রেনিং নিতে পারেন। আরো যারা অভিজ্ঞ মাছ চাষি তাদের থেকেও আইডিয়া নিয়ে পারেন। ভালো আইডিয়া না থাকলে লস এ পড়তে পারেন।
  • এর পর আপনাকে মাছ চাষের জন্যে উপযুক্ত একটি পুকুর নির্বাচন করতে হবে।
  • এর পর পুকুর এ চুন দিয়ে পানি পরিক্ষা করে পুকুর এ মাছ চাষ শুরু করতে হবে।
  • এমন জাতের মাছ চাষ করতে হবে যেই মাছ বাজারে প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে ।
  • এর পর পরিমান মতো মাছকে খাবার দিতে হবে
ওপরের উল্লেখযোগ্য বিষয় গুলো মেনে আপনি যদি মাছ চাষ শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনি লাভবান হবেন ।

মোবাইল রিচার্জের দোকান দিয়ে ব্যবসা

মোবাইল রিচার্জের দোকান দিয়ে আপনি অল্প পুঁজিতে লাভবান হতে পারেন। যারা কম টাকায় দোকান দেওয়ার কথা ভাবছেন তারা মোবাইল রিচার্জের দোকান দিতে পারেন। বর্তমান বিশ্বের সকল মানুষের হাতে স্মার্টফোন আছে । এসব ফোন গুলোতে প্রতিদিন রিচার্জ করতে হয়।

মানুষের রিচার্জ এর দরকার হলে অবশ্যই মোবাইল রিচার্জ এর দোকানে গিয়ে রিচার্জ করবে। এর জন্য দোকান খুবই ভালো চলবে। মাত্র ১০থেকে ১৫হাজার টাকা দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। মোবাইল রিচার্জ এর সাথে বিভিন্ন কোম্পানির কার্ড বিক্রি করতে পারেন । এতে বেশি লাভবান হওয়া যায়।

বিদেশি ভাষা শিক্ষা দিয়ে ব্যবসা

বিদেশি ভাষা শিক্ষা বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় সব মানুষ চাকরি পাই না। এবং বেশির ভাগ মানুষ বেকার হয়ে থাকে। অন্য অন্য দেশে শ্রমিকের অনেক চাহিদা রয়েছে । 

আপনি যদি বিদেশি ভাষা জানেন তাহলে বিদেশি ভাষার কোর্স করিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।কথায় আছে শিক্ষার কোনো বয়স নাই তেমনি অনেক মানুষ কাজের জন্য ভাষা শিক্ষে আবার অনেকে পড়াশোনা করতে বিদেশি যায়।এসব কোর্স বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়।

কফি শপ দিয়ে ব্যবসা

কফি শপ ব্যবসা করে অল্প সময়ে লাভজনক হওয়া যায়। আমাদের চারপাশের প্রায় সকল মানুষই কফি ও ফাস্ট ফুড অনেক বেশি পছন্দ করে। আমাদের আশেপাশে দেখলে দেখা যায় ভালো মানের কফি শপ খুবই কম আছে । আমরা আমাদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন দের সাথে ভালো একটি সময় কাটাতে কফি শপে যায় । 

আরো তরুণ- তরুণী সবাই কফি পছন্দ করে। সবাই কফি পছন্দ করে এ জন্য একটি কফি শপ সারা বছর চালানো যায়।কফি শপ এ কফির পাশাপাশি আরো বিভিন্ন মিষ্টান্ন বিক্রি করা যেতে পারে এতে লাভের অংশ বেশি হবে। অল্প পুঁজিতেই এই ব্যবসা করা যায়।

কসমেটিকস শপ দিয়ে ব্যবসা

কসমেটিকস শপ দিয়ে বর্তমানে অনেক ভালো মানের টাকা ইনকাম করা সম্ভব । বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গার মানুষ কসমেটিকস পছন্দ করেন । বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ।এই দেশে অনেক মানুষ রয়েছে। বিশেষ করে মেয়ে মানুষের কসমেটিকস খুবই পছন্দ ।

 এই ব্যবসা করার জন্য খুব বেশি টাকার দরকার নেই অল্প পুঁজিতেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। একটি নির্ভরযোগ্য কোম্পানি থেকে কসমেটিকস নিয়ে গ্রাহকদের ভালো মানের কসমেটিকস দিলে সারা বছর ব্যবসা করতে পারবেন। 

বিশেষ করে ব্র্যান্ড এর কসমেটিকস গুলো ক্রয় করতে হবে । এতে বিক্রি ভালো হবে।এছাড়াও আপনি অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ও ফেসবুক পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এতে আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা কথাটি শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। আসলে ব্যবসা করতে তেমন একটা পুঁজির দরকার হয় না শুধু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পরিশ্রম করলেই অনেক লাভবান হওয়া যায়।
পাইকারি ব্যবসা করে অল্প সময়ে লাভজনক হওয়া যায়। এবং পরিশ্রম ও কম হয়। পাইকারি ব্যবসা করতে খুব বেশি পুঁজি লাগে না খুচরা ব্যবসার পুঁজির থেকে একটু বেশি হলেই হয়। সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে পাইকারি ভাবে পণ্য ক্রয় করে খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে পোঁছে দিয়ে অল্প সময়ে লাভজনক হওয়া যায়।

শেষ কথা : অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করার উপায় গুলো ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন আমরা অনেকগুলো ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেছি । অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করার নিয়ম গুলো অনুসরণ করলে আপনি অনেক লাভবান হবেন। যদিও আমরা অনেকগুলো ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেছি । 

কিন্তু এর বাহিরে আরো অনেক ব্যবসা রয়েছে যে ব্যবসা করেও অনেক লাভবান হওয়া যায়। এছাড়া আপনার এলাকায় কোন জিনিস এর অভাব রয়েছে এসব বিবেচনা করেও ব্যবসা করতে পারেন। এতোক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
 
আপনি যদি এই ধরনের তথ্য মূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করে রাখুন। আপনি যেন অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন সেই আশাব্যক্ত করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url