১৫দিনে মোটা হওয়ার অবাক করা উপায় জানুন
১৫দিনে মোটা হওয়ার জন্য আমাদের মোটা হওয়ার উপায় গুলো জানতে হবে । অতিরিক্ত মোটা
হলে যেমন ভালো লাগে না তেমনি অতিরিক্ত চিকন হলেও ভালো লাগে না। অতিরিক্ত চিকন হলে
আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবি সবাই নানান রকম কটু কথা বলে যেটা অনেক খারাপ লাগে। আজকে আমরা জানবো,
১৫দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে । মোটা হতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে । ওজন কমার কারণ কি। এবং মোটা হওয়ার জন্য কিছু খাবার এবং কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন ১৫দিনে মোটা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নি।
পেজ সূচিপত্র :১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়
১৫দিনে মোটা হওয়ার উপায়
১৫দিনে মোটা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে । একজন মানুষের
শরীরের অতিরিক্ত ওজন যেমনি ক্ষতি করে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর বাসা বাধে। শরীর অসুস্থ
করে তোলে।আবার তেমনি শরীর অতিরিক্ত চিকন হলেও নিজের কাছেও ভালো লাগে না ।
রোগা রোগা লাগে। আত্মীয়-স্বজন , বন্ধুবান্ধব দের কটু কথা । সবাই বলে খাবার খেতে
পায় না, খেতে দেয় না, কিপটে খায় না আরো নানান রকম কথা শুনতে আর ভালো লাগে না।তাই
নিয়ম অনুসরণ করে কিছু খাবার খেলে স্থানী ভাবে মোটা হওয়া যায়।সাথে কিছু ব্যায়াম
করতে হবে তাহলে স্থানী ভাবে মোটা হওয়া যায়। চলুন বিস্তারিত জেনে নি।
আরো পড়ুন :
কাঁচা রসুনের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
সকালের নাস্তা
সকালের নাস্তায় কিছু খাবার যুক্ত করলে তাড়াতাড়ি স্থানী ভাবে মোটা হওয়া যায়। যেমন
:ডিম,কলা,দুধ,খেজুর ইত্যাদি। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
ডিম:ডিম হলো একটি ভিটামিন যুক্ত খাবার। এই ডিমে থাকা ভিটামিন -এ চোখ ভালো
রাখতে সাহায্য করে। চোখের ক্ষতি থেকে ডিম অনেক উপকার করে। এই ডিম এ আরো রয়েছে
ভিটামিন বি২ যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।ত্বক সুন্দর রাখে।
ডিম প্রায় সারা বছর সব জায়গাতেই পাওয়া যায় । এই ডিম ধনী, গরীব সবাই খেতে পারে দাম
একেবারেই অল্প হওয়ায় প্রায় সবার বাসাতেই ডিম থাকে। তাই ওজন বাড়াতে প্রতিদিন একটি
করে ডিম খেতে পারেন।
কলা: কলা একটি পুষ্টিকারী ফল। এই কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ যা রোগ
প্রতিরোধ করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই কলাতে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণ
ফাইবার যা শরীরে খাবার হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলা সারা বছর প্রায় সব
জায়গাতেই পাওয়া যায় ।
দাম কম হওয়ায় এই কলা সবাই খেতে পারে। অন্য অন্য ফল গুলোর মতো কলা খাওয়ার আগে
ছিলার কোনো সমস্যা হয় না খাওয়ার সময়ই হাত দিয়েই ছিলে খাওয়া যায়। তাই স্থায়ী ভাবে
মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিন একটি বা দুইটি কলা খেতে পারেন।
দুধ:দুধ হলো একটি পুষ্টিকারী পানীয়। শরীরকে সুস্থ সুন্দর রাখতে দুধ খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পুষ্টি এই দুধে
রয়েছে। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-১২ এবং ক্যালসিয়াম যা শরীরের হাড় ও
দাঁত শক্তিশালী করতে সাহায্য করে
দুধে সকল ধরনের পুষ্টি গুন রয়েছে এই দুধ রোগ প্রতিরোগ করে শরীর কে সুস্থ রাখে।
দুধে থাকা ভিটামিন -১২রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে রক্ত তৈরি করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
দুধ এমন একটি জিনিস যা যে কোন খাবারের পরে খেয়ে নেওয়া যায়। তাই আমাদের স্থায়ী
ভাবে মোটা হতে হলে প্রতিদিনের নাস্তাই এক গ্লাস দুধ রাখতে হবে।
খেজুর :খেজুর হলো একটি পুষ্টিকারী ফল। যা সারা বছর কম বেশি পাওয়া যায় ।
তবে এই খেজুর সৌদি আরব আমিরাতেই পাওয়া যায় । এই খেজুরে রয়েছে আয়রন, ফলিক এসিড যা
রক্ত তৈরি করে রক্ত শূন্যতা কমায়।এই খেজুরে আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম
যা দাঁত ও শরীরের হাড় শক্তিশালী করে।
মুসলমানদের নবী হজরত মুহাম্মদ (স) এই খেজুরের অনেক উপকারের কথা বলে গিয়েছেন।
বিজ্ঞানীক দিয়ে পরীক্ষিত তার বলা সকল কথার মিল রয়েছে । তাই স্থানী ভাবে
মোটা হওয়ার জন্য এবং শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন কয়েকটি করে খেজুর খেতে
হবে।
দুপুরের খাবার
সকালের নাস্তায় যেমন কিছু খাবার যোগ করেছি তেমনি দুপুরের খাবারের সাথে কিছু খাবার
যোগ করতে হবে। স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার জন্য এই খাবার গুলো খাওয়া উচিত । টক দই,
মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি বিস্তারিত হলো:
টক দই : টক দই একটি পুষ্টিকারী উপাদান। এই টক দই সম্পুর্ণ দুধ দিয়ে বানানো
হয় তাই এই টক দই খেলে দুধের পুষ্টিগুন ও পাওয়া যায়। আরো টক দই এ অনেক উপকারী
জীবাণু থাকে যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই টক দই খেলে
পেটের ভেতর থাকা উপকারী জীবাণুর সাথে আরো উপকারী জীবাণু তৈরি হয় । এতে ক্ষতিকর
জীবাণু গুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
আরো রয়েছে মিষ্টি দই সেখানেও উপকারী জীবাণু থাকলেও এই মিষ্টি দই এ প্রচুর পরিমাণ
চিনি মিশানো হয়ে থাকে যা স্বাস্থ্য খারাপ করে তোলে।তাই এই মিষ্টি দই খাওয়া এড়িয়ে
চলুন।একেবারেই খেতে নিষেধ করেতেছি না যদি মন যায় পরিমান মতো খান কিন্তু নিয়মিত
না। এগুলো বেশি খেলে শরীরের মাংসপেশি বেড়ে যেতে পারে । এতে শরীরে বাড়লেও তা
স্বাস্থ্যকর হবে না।
মুরগির মাংস : মাংসের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মাংস হলো মুরগির মাংস । দামেও কম
এবং শরীরের জন্যও ভালো । এই মুরগির মাংস আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
যদি আপনার মুরগির মাংস খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে দুপুরের খাবার তালিকায় ২
টুকরো মুরগির মাংস রাখতে পারেন। অনেকেই আপনাকে গরুর মাংস , খাসির মাংস খাওয়ার
পরামর্শ দিতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। কখনোই মোটা হওয়ার জন্য এই সব খাবার
খাবেন না। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ চর্বি যা শরীরকে মোটা করলেও সেটা শরীরের
জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে শরীরে বিভিন্ন রোগ জীবাণু সৃষ্টি করে। তবে একেবারেই খেতে
নিষেধ করতেছি না খাবেন পরিমান মতো কিন্তু প্রতিদিন না।
ডাল :ডাল হলো একটি পুষ্টিকারী উপাদান। ডাল গরীবের আমিষ হিসেবেও পরিচিত।
কারণ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও প্রোটিন।যা গরুর মাংস, মুরগির মাংস,
খাসির মাংস থেকেও খাওয়া যায় । সবাই তো আর এই সব সব সময় কিনতে পারে না তাই ডালকে
গরীবের আমিষ হিসেবে পরিচিত করা হয়েছে। তবে গরুর মাংস , খাসির মাংসে আমিষ থাকলেও
সেটাতে প্রচুর পরিমাণ চর্বি রয়েছে যেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর ।
যা এই ডালে নেই তাই এই ডাল খেলে আমিষের চাহিদা পূরণ হয় এবং মোটা হওয়া যায়।
আমাদের শরীরের ভেতরে কোটি কোটি জিবানু রয়েছে । যে জীবানু গুলো আমাদের শরীরকে
সুস্থ রাখে । এই ডালে রয়েছে সেই শক্তি যা এই জীবাণু তৈরি সাহায্য করে। এই জীবাণু
গুলো শরীরের ভিটামিন ও শরীরের বিভিন্ন কাজ করে শরীর সুস্থ রাখে।
আরো পড়ুন :
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
রাতের খাবার
রাতের খাবারের নিয়ম অনুসরণ করলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়া
যায়। দুপুরের খাবার তালিকায় যেসব খাবার রয়েছে সেসব খাবারের৷ কোনো এক অংশ দুপুরে ন
খাওয়া হলে সেটা রাতে খাওয়া যায়।
ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এমন আরো কিছু ফল আমরা খেতে পারি যেমন : কিসমিস , বাদাম,
বিভিন্ন ধরনের বীজ ইত্যাদি চলুন বিস্তারিত জেনে নি।
কিসমিস :কিসমিস একটি পুষ্টিকারী উপাদান। এটি রান্না বিভিন্ন কাজে ব্যবহার
করলেও মানবজীবনে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই কিসমিস বিভিন্ন খাবারে স্বাদের জন্য
দেওয়া হয় বিশেষ করে পায়েস এ এটি ব্যবহার করা হয়।
কিসমিস আঙ্গুর ফল শুকিয়ে বানানো হয় তাই অল্প পরিমাণ কিসমিস এ অনেক ভিটামিন পাওয়া
যায়। তবে এই কিসমিস বাদাম বা টক দই এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া
যায়। তাই আমাদের মোটা হওয়ার জন্য আমাদের খাবার তালিকায় কিসমিস রাখতে পারি।
বাদাম : বাদামে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে । এই বাদাম আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে
সাহায্য করে । বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাওয়া যাবে যেমন :কাজুবাদাম , চিনাবাদাম ,
কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি আপনার যেটা পছন্দ বা আপনার যেটা সামর্থ্য হয় সেই
বাদাম ই খেতে পারেন। বাদামে রয়েছে ভিটামিন , ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের মিনারেল যা
শরীরের উপকারী জীবাণু সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এই জীবাণু গুলো শরীরের রোগ নিরাময় করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই
প্রতিদিন দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই বাদাম খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে
বাদাম এর সাথে কিছু মেশানো আছে নাকি যদি কিছু মেসানো থাকে তাহলে উপকার হবে না
ক্ষতি হতে পারে । তাই ভালো করে দেখে রাতে খাওয়ার পর মোটা হওয়ার জন্য বাদাম খেতে
পারেন।
বিভিন্ন ধরনের বীজ : অনেকেই শুনে অবাক হচ্ছেন যে বীজ খাওয়া যায় । হ্যা বীজ
শুধু জমিতে লাগানোর জন্যই নয় এই বীজ খাওয়া যায় । বিভিন্ন ধরনের বীজ হতে পারে
যেমন:সূর্যমুখির বিচি,তিলের বীজ,কালোজিরা, তিসির বীজ,মিষ্টিকুমড়ার বিচি ইত্যাদি।
এই বীজ এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা শরীর সুস্থ রাখতে এবং এতে রয়েছে
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা শরীর মোটা হতে সাহায্য করে।
টেনশনমুক্ত ও পরিমিত ঘুম
টেনশনমুক্ত ও পরিমিত ঘুম একজন মানুষ কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। টেনশন মানুষকে
মৃত্যুর কোলে ঢেলে দেয়। সব সমস্যার বড়ো সমস্যা এই টেনশন।ওজন বাড়ানোর জন্য
সর্বপ্রথম টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত টেনশনের কারণে কোনো খাবার ঠিক
কতো খেতে পারবেন না। আর মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেতে
হবে ।
এই টেনশনের কারণে খাবার খেতে পারবেন না তখন অসুস্থ হয়ে পরবেন। মোটা হওয়ার
জন্য অবশ্যই পরিমিত ঘুমাতে হবে। যদি পরিমিত ঘুম না হয় তাহলে মোটা হওয়া যায় না।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অবশ্যই ৮ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম করার কথা বললে অনেকে বলেন মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে হয় ওজন কমানোর
জন্য তো ব্যায়াম করতে হয়। হ্যা আপনি ঠিকই বলেছেন ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন
তেমনি ওজন বাড়াতেও ব্যায়াম প্রয়োজন।ব্যায়াম করলে অনেক ক্ষুধা বাড়বে এবং হজম ভালো
হবে এতে ঘুম ভালো হবে।
ওজন বাড়াতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি জিম এ
যেতে পারেন কোনো একজন জিম মাস্টার এর কাছে জিম করতে পারেন। জিম এ এই যেতে হবে এমন
টা বলতেছি না আপনি বাড়িতেও জি নিচে কয়েকটি ব্যায়াম এর নাম উল্লেখ করা হলো:
- pullup
- Plank
- Pushup
- Squat
ওপরের উল্লেখযোগ্য ব্যয়াম গুলো youtube এ সার্চ দিয়ে এই নাম গুলো লিখলে অনেক
ভিডিও আসবে এসব ভিডিও দেখে বাসাতেই ব্যায়াম গুলো করতে পারবেন।
আরো পড়ুন :
আমলকীর উপকারীতা ও অপকারীতা
খাবারের ক্যালরি
- ১টা মাঝারি কলা(১১৮গ্রাম)-১০৫ক্যালরি
- ১ আউন্স কাজুবাদাম (২৮.৩৫গ্রাম)-১৫৭ক্যালরি
- ১কাপ রান্না করা ডাল(১৯৮গ্রাম)-২৩০ক্যালরি
- ১কাপ দুধ (২৪৪গ্রাম)-১৪৬ক্যালোরি
- ১০০গ্রাম মুরগির মাংস -১৭৯ক্যালরি
- ১টা ডিম(৫০গ্রাম)-৭১.৫ক্যালরি
- ১আউন্স তিলের বীজ (২৮.৩৫গ্রাম)-১৬১ক্যালরি
- ১আউন্স চিনাবাদাম (২৮.৩৫গ্রাম)-১৬১ক্যালরি
- ১০০গ্রাম খেজুর -২৭৭ক্যালরি
- ১আউন্স কিসমিস (২৮.৩৫গ্রাম)-৮৪.৮ক্যালরি
- ১কাপ টক দই (২৪৫গ্রাম)-১৪৯ক্যালরি
- ১আউন্স কাঠবাদাম (২৮.৩৫গ্রাম)১৬৪ক্যালরি
- ১আউন্স মিষ্টিকুমড়ার বিচি(২৮.৩৫গ্রাম)-১৬৩ক্যালরি
- ১আউন্স পেস্তাবাদাম (২৮.৩৫গ্রাম)-১৫৯ক্যালরি
- ১আউন্স সূর্যমুখীর বিচি (২৮.৩৫গ্রাম)-১৭৫ক্যালরি
ওপরে কিছু খাবারের ক্যালরির সম্পর্কে দেখানো হয়েছে । তবে সব গুলো খাবার খেতে হবে
এমন টা হয় আপনার ইচ্ছে মতো খাবার খান সমস্যা নাই তবে প্রতিদিন স্বাভাবিক ক্যালরির
থেকে অতিরিক্ত ৩০০-৫০০ক্যালরি থাকতে হবে।
ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু খান
ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে ক্যালরি যুক্ত খাবার
খেলে সহজে মোটা হওয়া যায়। কারণ আপনি সারা দিন যেই খাবারই যতো ক্যালরি যুক্ত
খাবারই খান না কেন। সারা দিন কাজ করার জন্য ক্যালরির ক্ষয় হয়।
আর রাতে ঘুমানোর আগে যদি ক্যালরি যুক্ত খাবার খান তাহলে সেটা আর ক্ষয় হয় না সেটা
শরীরে থেকে যায় এবং শরীরকে মোটা হতে সাহায্য করে। ক্যালরি হিসেবে দুধ আর মধু
মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই দুই উপাদানেই অনেক পুষ্টি ও ক্যালরি
রয়েছে। যা শরীর কে সুস্থ ও মোটা হতে সাহায্য করে।
বার বার খাবার গ্রহণ
বার বার খাবার গ্রহণ করা প্রায় সব মানুষেরই প্রয়োজন। আমরা স্বাভাবিক তিনবেলা
খাবার খাই। কিন্তু মোটা হওয়ার জন্য আমাদের খাবার তালিকা একটু বড়ো করতে হবে ।
স্বাভাবিক যেসব খাবার খায় তেমনি খাবো শুধু কিছু পুষ্টিকারী খাবার দুইভাগ করে।
আরো দুইবার খেতে হবে তাহলে দেহের সকল পুষ্টিগুন পূর্ণ হবে। আপনি টক দই, কিসমিস ,
বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন । এতে শরীরের ক্যালরি বৃদ্ধি
পায় এবং শরীর সুস্থ রাখতে এবং শরীর মোটা করতে সাহায্য করে।
ওজন বাড়ানোর পূর্বে কিছু সতর্কতা
ওজন বাড়ানোর পূর্বে আপনাকে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে না হলে বিপদ হতে
পারে। আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার কি ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন। সাধারণত হাইট দিয়ে ওজন
এর মাপ করা হয়। আপনার কি ওজন বাড়াতে হবে এটা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে একজন
চিকিৎসক এর সাথে পরামর্শ করতে পারেন তিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনার ওজন কম হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওজন বাড়াতে হবে কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে
কম ওজনের মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। যদি আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে
চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ করে খাবার খেতে হবে। যদি আপনার মনে হয় আপনি
ঠিক মতো খাবার খেতে পারতেছেন না ।
তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে। এগুলো কোন রোগ এর লক্ষন কি না
যাচাই করে দেখবেন। কিছু লক্ষন নিচে দেওয়া হলো :
- পেট ফাঁপা লাগা
- খাওয়ার পরে পেটে অস্বস্তি হওয়া
- খুব ক্লান্ত লাগা
- খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া
- গলা ব্যাথা করা
- অল্প খাবার খেয়েই পেট ভরে গেছে এমন কমে হওয়া
- ব্যথা করা
- মুখে ঘা হওয়া
- খাবার অরুচি হওয়া
- কিছু দিন পরপর অসুস্থ হয়ে পরা
ওপরের উল্লেখযোগ্য লক্ষন গুলো ক্ষতির কারণ। এসব লক্ষন গুলো দেখা দিলে চিকিৎসক এর
পরামর্শ নিন ।
শেষ কথা :১৫দিনে মোটা হওয়ার উপায়
১৫দিনে মোটা হওয়ার উপায় ইতিমধ্যে জেনে গেছি । তবে মোটা হওয়ার থেকে আমাদের
স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নিয়ম অনুসরণ করে খাবার খেলে আমাদের শরীর
ভালো থাকে ও মোটা হওয়া যায়। মোটা হওয়ার জন্য কোনো ঔষধ ব্যবহার করবেন না এতে
শরীরেরর ক্ষতি হতে পারে।
তাই নিয়ম অনুযায়ী ক্যালরি যুক্ত খাবার খান তাহলে অল্প দিনে মোটা হতে পারবেন।
চর্বি, তেলযুক্ত,খাবার খাওয়া বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো আপনার শরীরের চর্বি
বাড়িয়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এতে শরীরের ক্ষতি হয়। প্রিয় পাঠক সুষম খাদ্য
খাওয়ার উভ্যাস করুন এবং নিয়ম অনুসরণ করে খাবার খান তাহলে অল্প দিনে মোটা হতে
পারবেন।
প্রিয় পাঠক আজকে এ পর্যন্তই দোয়া করি আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন। ভালো থাকবেন
সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url