আমলকীর উপকারীতা ও অপকারীতা
মানবদেহে আমলকির অনেক উপকার রয়েছে এটি মানব দেহে ওষুধের মতো কাজ করে চলুন জেনে নি আমলকী কিভাবে মানুষের শরীরের রোগ নিরাময় করে।
পেজ সূচিপত্র:
- যেসব রোগের উপকার করে আমলকী :
- প্রতিদিন কয়টা আমলকী খাওয়া উচিত :
- আমলকী খাওয়ার সঠিক সময়:
- শুকনো আমলকী খাওয়ার নিয়ম :
- কাঁচা আমলকী খাওয়ার উপকারিতা :
- আমলকীর ক্ষতির দিক :
- গর্ভাবস্থায় আমলকী খাওয়ার উপকারিতা :
- আমার মতামত - শেষ কথা
আমলকী প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন চিকিৎসার কাজ করে আসছে। বিশেষ করে এই ফলটি মানুষের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এই ফল দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে পারবেন যা এই পোস্টে আলোচনা করবো।
যেসব রোগের উপকার করে আমলকী :
যেসব রোগের উপকার পেতে আপনি আমলকী খাবেন, আসলে আমলকী ফল বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে । কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের এর ওপর আমলকীর উপকার হতে পারে :
১।মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য :কিছু গবেষণাতে দেখা গিয়েছে যে আমলকী ফলের ব্যবহার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের অক্রিডেটিভ নিরাপত্তা প্রদান করে
২।পাচন:আমলকী ফলে পাচনশক্তি বাড়ানোর মাধ্যমে এটি পাচনকে সাহায্য করে।
৩।ডায়াবেটিস :গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে আমলকী ফল ব্যাবহার এ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪।হৃদরোগ :আমলকী ফলে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্রিডেন্টস থেকে থাকে এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ ও হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
৫।বিভিন্ন অনিয়মিত রোগের প্রতিরোধ:আমলকী ফলে ভিটামিন c এবং অন্যান্য পুষ্টিগুন থাকে যা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
প্রতিদিন কয়টা আমলকী খাওয়া উচিত :
প্রতিদিন কয়টা আকলকী ফল খাওয়া উচিত সাধারণ ব্যক্তির বয়স লেভেল ও শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।তবে প্রতিদিন ২-৩টা আমলকী ফল খাওয়া উচিত।
অন্য খাবারের সাথে যোগ করে আমলকি ফল খাবার উপকারীতা বাড়াতে পারে। তবে যে কোন নতুন খাবারের সাথে যোগ করার আগে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নেবেন। নয়তো যেসব রোগের উপকার করে আমলকি সে সম্পর্কে জানতে অবশ্যই পুরো পোস্টটি পড়তে হবে।
আমলকী খাওয়ার সঠিক সময়:
আমলকী ফল খাওয়ার কোন নির্ধারিত সময় নেই তবে আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন। আমলকী ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সময় সম্পর্কে আপনাদের নিচে বলা হলো ঃ
১।সকালে :সকালের খাবারের সময় আমলকী ফল ফেতে পারেন এতে দিনের শুরুটা ভালো হবে এবং স্বাস্থ্য উন্নতি হবে।
২।বিকালে:একেবারে বা অন্য সময় আমলকী ফল খেতে পারেন এতে আপনার পেটের অতিরিক্ত ভার নির্মূল হবে।
৩।রাতে: কিছু কিছু মানুষ রাতে আমলকী ফল খায়এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
শুকনো আমলকী খাওয়ার নিয়ম :
শুকনো আমলকী খাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এজন্য আপনাকে ভালো টাটকা কাঁচা আমলকী বাছায় করে পানিতে সুন্দর করে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে প্রতিদিন একটা বা দুইটা করে খেতে পারবেন
কাঁচা আমলকী খাওয়ার উপকারিতা :
কাঁচা আমলকীতে অনেক গুনাগুন থাকে।এটি ভিটামিন c এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো উৎস । কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা আমলকীর উপকারিতা আলোচনা হলো :
1।স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুল :কাঁচা আমলকীতে অন্তর্বাহিনী পৃষ্ঠপাত ও প্রবাহী ক্রিমে উচ্চ ভিটামিন c এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের উপকার করে।
২।অন্তর্বাহিনী পৃষ্ঠপাত বা ডাইরিয়া :কাঁচা আমলকী অন্তর্বাহিনী পৃষ্ঠপাতের উন্নতি করে এবং ডায়রিয়া ভালো করতে সাহায্য করে।
৩।শরীরের বাহ্যিক প্রতিরোধ :ভিটামিন c এবং পুষ্টিগুন উচ্চমাত্রার জন্য কাঁচা আমলকী শরীরের বাহ্যিক প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করে।
৪।ভিটামিন c সরবরাহ :কাঁচা আমলকীতে ভিটামিন c সরবরাহের মাএা বেশি থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
৫।ডিটোক্রিফিকেশন এবং বিশুদ্ধকরণ:কাঁচা আমলকী শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির বাহক হিসেবে কাজ করে যা ডিটোক্রিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়।
আমলকীর ক্ষতির দিক :
আমরা জানি এবং মানি অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। কোনো কোনো সময় আমলকী ফল আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তবে এটি অত্যন্ত উপকার ফল হিসেবে পরিচিত। কোন কোন অবস্থায় আমলকী ক্ষতিকর হতে পারে চলুন জেনে নি :
১।অতিরিক্ত এলসিডি :কিছু কিছু মানুষের অতিরিক্ত আমলকী খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত এসিডিটির কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
২।অনির্মাণ:কিছু মানুষের আমলকী সেবনে অনির্মান এর সমস্যা হতে পারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।
৩।অ্যালার্জি:কিছু মানুষের আমলকী সেবনে আ্যালার্জি হতে পারে ।
গর্ভাবস্থায় আমলকী খাওয়ার উপকারিতা :
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা অনেকগুলো রয়েছে নিম্নলিখিত হতে পারে:
১।র্পোটিনও ভিটামিন সরবরাহ :আমলকি গর্ভাবস্থায় র্পোটিন ও ভিটামিন পরিমাণ সরবরাহ করে জা মা ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নত করে।
২।অধিক রক্ত উন্নতির সাহায্য:আমলকির ভিটামিন c মাত্রা রক্তের গঠনের জন্য অত্যাবশক। এটি মা ও শিশুর জন্য রক্ত পোডাকশন বাড়াতে সাহায্য করে।
৩।আন্টিঅক্রিডেন্ট সংক্রান্ত সমর্থক:আমলকী বিভিন্ন আন্টিঅক্রিডেন্ট সরবরাহ করে যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নত করে।
রোগ নিরাময় করে আমলকী এই সব উপকারীতা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যকে উন্নত করে । তবে সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে অন্যথায় বিপদে পরবেন।
আমার মতামত - শেষ কথা
রোগের উপকারী আমলকির গুরুত্ব অপরিসীম তা হয়তো আপনারা এই পুরো পোষ্ট থেকে জেনে গিয়েছেন যে আমলকী কতোটা উপকারী আমাদের শরীরের জন্য এ কারণে আমাদের সবাইকে কম বেশি আমলকী খাওয়া উচিত। এ সকল প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর কোনো সাইড ইফেক্ট নেই। তাই নিঃসন্দেহে এগুলো ব্যবহার করা যাবে।তারপরও কিছু উপাদান ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ সবার শরীর একরকম নয়।
আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আল্লাহ হাফেজ।
দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url