কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও ২৫ টি উপকারিতা জানুন


কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিসমিস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পরিচিত একটি ফল। এই কিসমিস শুধু খাবারের স্বাদই  বাড়ায় না এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
কিসমিস-খাওয়ার-নিয়ম-ও-উপকারিতা
কিসমিসে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, আয়রন পটাসিয়াম ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন গুলো পেতে হলে আমাদের নিয়মিত কিসমিস খেতে হবে। তাহলে চলুন কিসমিসের উপকারিতা ও কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।

পেজ সূচীপত্র : কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কিসমিস খাওয়ার আগে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম গুলো আমাদের জানতে হবে। কিসমিস একটি সুস্বাদু ফল। এটি সারা বছর প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়। এই কিসমিসের ইংরেজি নাম হলো রেইসিন। কিসমিস মূলত কাঁচা আঙ্গুর রোদে শুকিয়ে কিছু প্রচেছের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। 
কিসমিস-খাওয়ার-নিয়ম-ও-উপকারিতা
কিসমিস আমাদের খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে খাবার কে খুবই সুস্বাদু করে তোলে। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন , আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও অন্য অন্য পুষ্টিগুন। যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুন গুলো পূরণ করতে সাহায্য করে। কিসমিসের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ফিটিসভেনিপেরা।এই কিসমিস প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগের প্রতিকারে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই কিসমিস বলতে গেলে আঙ্গুর গাছ সাধারণত ভারত, ইরান, পাকিস্তান, ইরাক ইত্যাদি দেশে খুব ভালো জন্মে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশেরও বিভিন্ন জায়গায় এই কিসমিসের চাষ করা হচ্ছে। এই কিসমিসে রয়েছে আয়রন যা আমাদের শরীরের রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। এই কিসমিসের আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে। 

আপনি যদি কিসমিসের সঠিক গুন-গুন গুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস খেতে হবে। কিসমিসের সকল গুনা-গুন সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কিসমিসের পুষ্টিগুন

কিসমিসের পুষ্টিগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কিসমিসের অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। এই কিসমিসে ভিটামিন, আয়রন, খনিজ,শক্তি ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিসমিসের সঠিক গুনা গুন গুলো পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিসমিসের পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানতে হবে।
কিসমিসের পুষ্টিগুন গুলো জানা থাকলে আপনার খেতেও সুবিধা হবে। তাহলে চলুন কিসমিসের পুষ্টিগুন গুলো জেনে নি।

প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসের পুষ্টিগুন
পুষ্টি উপাদান পরিমান
শক্তি ১.২৫২ কিজু
স্নেহ পদার্থ ০.৪৬ গ্রাম
চিনি ৫৯.১৯ গ্রাম
শর্করা ৭৯.১৮ গ্রাম
প্রোটিন ৩.০৭ গ্রাম
খাদ্য আঁশ ৩.৭ গ্রাম
ভিটামিন পরিমান
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.০৯৫মিগ্রা:
ভিটামিন (বি৬) ০.১৭৪ মিগ্রা:
নায়াসিন (বি৩) ০.৭৬৬ মিগ্রা:
থায়ামিন (বি১) ০.১০৬ মিগ্রা:
ভিটামিন সি ২.৩ মিগ্রা:
ভিটামিন ই ০.১২ মিগ্রা:
ভিটামিন কে ৩.৫ ug
কোলিন ১১.১ মিগ্রা:
রিবোফ্লাভিন (বি২) ০.১২৫ মিগ্রা:
ফোলেট( বি৯) ৫ ug
row11 col 2
খনিজ পরিমাণ
পটাশিয়াম ৭৪৯ মিগ্রা:
ম্যাগনেসিয়াম ৩২ মিগ্রা:
ক্যালসিয়াম ৫০ মিগ্রা:
লৌহ ১.৮৮ মিগ্রা:
ফসফরাস ১০১ মিগ্রা:
সোডিয়াম ১১ মিগ্রা:
জিংক ০.২২ মিগ্রা:
ম্যাঙ্গানিজ ০.২৯৯ মিগ্রা:

কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম

কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন।কিসমিস একটি পুষ্টিকারী ফল।এটি সারা বছর সব জায়গায় পাওয়া যায়। কিসমিসের সঠিক গুনাগুন গুলো পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস খেতে হবে। তাহলে চলুন কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়া

কিসমিস ভিজিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুন পাওয়া যায়। কিসমিস খাওয়ার আগের দিন রাতে একটি গ্লাসে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে দেখবেন কিসমিস গুলো পানিতে ভিজে নরম হয়ে গেছে। এই কিসমিস এর পানি ও নরম হওয়া কিসমিস গুলো সকালে খালি পেটে পান করুন। খালি পেটে ভিজানো কিসমিস খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়।

খাবারের সাথে মিশিয়ে

কিসমিস বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। কিসমিস একটি পুষ্টিকারী ফল। এটি যেভাবেই খান না কেন এর গুনাগুন গুলো পাবেনই।তবে নিয়ম অনুসরণ করে খাওয়ায় ভালো। আপনি চাইলে কিসমিস সালাদের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। পুডিং, পায়েস খির ইত্যাদি খাবারের অংশ হিসেবেও এই কিসমিস খেতে পারেন।

শুকনো কিসমিস খাওয়া

শুকনো কিসমিস খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। অনেক সময় কিসমিস ভিজানো সম্ভব হয় না কিংবা সময় পান না। তারা শুকনো কিসমিস খেতে পারেন । একট বেশি খেলে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ হবে যা আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

দুধের সাথে কিসমিস খাওয়া

শুকনো কিসমিস আপনি চাইলে দুধের সাথেও খেতে পারেন। এজন্য এক গ্লাস দুধ নিয়ে তার মধ্যে ৪-৫ টি কিসমিস ছেড়ে দিন কিছুখন পর খেয়ে নিন।এভাবে সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন।

ওপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আপনি কাঁচা কিসমিস খেতে পারেন। আপনি যদি কিসমিসের সঠিক গুন পেতে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়ম অনুসরণ করে ১০-১৫ টি কিসমিস খান।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ মুক্ত প বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই কিসমিস । কিসমিস আমাদের হজম শক্তি, হাড়ের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। এরকম আরো উপকার রয়েছে এই কিসমিসের। তাহলে চলুন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা গুলো বিস্তারিত জেনে নি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : কিসমিস খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা শরীরের রোগ মুক্ত করতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি উন্নত করে : কিসমিস খেলে আমাদের হজম শক্তি উন্নত হয়। কিসমিসে রয়েছে ডায়েটারি নামে এক ধরনের ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে । এই কিসমিস আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।

শক্তি বৃদ্ধি করে : শুকনো কিসমিস খেলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই কিসমিসে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি যা আমাদের শরীরের শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা খুবই পরিশ্রম করেন তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রক্তস্বল্পতা দূর করে : কিসমিস আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এই কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন বি, আয়রন, কপার ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের রক্ত তৈরি করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে : শুকনো কিসমিস আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই কিসমিসের উপাদান গুলো আমাদের পেটের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।

হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে : কিসমিস আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। এই কিসমিসে রয়েছে বোরন এবং ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। এই কিসমিসের গুনাগুন গুলো অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে আমাদের হাড় সুস্থ থাকে।

চুল ও ত্বকের যত্নে : এই কিসমিস আমাদের চুল ও ত্বকের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই কিসমিসের গুন গুলো আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া বন্ধ করে।

হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে : এই কিসমিস আমাদের হার্ট উন্নয়ন করতে সাহায্য করে। এই কিসমিসে রয়েছে পটাসিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও কিসমিসে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ধমনী পরিস্কার করে হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয় তা আমরা অনেকেই জানি না। সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে আপনার বদ হজম ভালো হয়ে যাবে। কিসমিস খাওয়ার আগের দিন রাতে এক গ্লাস পানির মধ্যে ৮-১০ টি কিসমিস রেখে দিন। সকালে খালি পেটে ভিজানো কিসমিস এর পানি এবং কিসমিস গুলো পান করুন ।
সকালে-খালি-পেটে-কিসমিস-খেলে-কি-হয়
সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এভাবে প্রতিদিন কিসমিস খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি কিসমিসের গুান-গুন গুলো পেতে চান তাহলে এভাবে ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কিসমিস নিয়ম অনুসরণ করে খেতে হবে তাহলে অনেক গুানগুন পাওয়া যাবে। ৬১তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ২০১২ আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি থেকে জানা যায় যে কিসমিস প্রতিদিন সেবনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 
এই কিসমিসের গুনাগুন আয়রন, ফাইবার, পটাসিয়াম ইত্যাদি সকালে খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি কাজ করে। প্রতিদিন ৪-৫ টি কিসমিস খাওয়া উচিত । অতিরিক্ত বেশি কিসমিস খেলে আমাদের শরীরের ক্ষতি কতে পারে। তাই নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

রাতে কিসমিস খেলে কি হয়

রাতে কিসমিস খেলে কি হয় এটা অনেকেই জানতে চেয়েছেন।এই কিসমিসের গুনাগুন গুলো পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস খেতে হবে। যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়ম অনুসরণ করে রাতে কিসমিস খেতে পারেন। এই কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন ও আয়রন যা আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রাতে ঘুমানোর আগে শুকনো কিসমিস বা দুধের সাথে মিশিয়ে কিসমিস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই কিসমিস আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন এতে ঘুম ভলো হবে।

সেক্সে কিসমিসের উপকারীতা

সেক্সে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। সেক্সে কিসমিসের অনেক উপকার রয়েছে। আপনি যদি সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলের এই অংশ ভালো করে পড়ুন। তাহলে চলুন সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা গুলো জেনে নি।
  • কিসমিসের ভিটামিন গুন গুলো আমাদের শরীরের যৌন দূর্বলতা দূর করে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • শুকনো কিসমিসের উপাদান গুলো আমাদের যৌন অঙ্গে সঠিক ভাবে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে। এতে যৌন অঙ্গের শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • প্রাকৃতিক ভাবে ঘরোয়া উপায়ে সেক্সের সমস্যা দূর করতে নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস খান।
  • কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও ক্যালরি যা আমাদের শরীরের শক্তি সরবরাহ করে এতে সেক্সের পাওয়ার বৃদ্ধি পাবে।
  • প্রতিদিন নিয়ম অনুসরণ করে ৮-১০ কিসমিস খেলে চিরোদিনের মতো আপনার যৌন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস খেতে সেক্স মন ভালো থাকে।

কিসমিস খাওয়ার কিছু সতর্কতা

কিসমিস খাওয়ার কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদিও কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু কিছু সময় এই কিসমিস আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে। কিসমিস খাওয়ার আগে কিসমিসের ক্ষতিকর দিক গুলো জানতে হবে। তাহলে চলুন কিসমিস খাওয়ার সতর্কতা গুলো জেনে নি।
  • যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এলার্জি জনিত মানুষের এই কিসমিস খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা এই কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই কিসমিসে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
  • যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা প্রচুর পরিমাণে কিসমিস খাবেন না। কারণ এই কিসমিস ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে।
  • অতিরিক্ত কিসমিস খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত কিসমিস খাবেন না।
কিসমিস খেলে ওপরের সমস্যা গুলো হতে পারে। তাই নিয়ম অনুসরণ করে কিসমিস খেতে হবে। এসব সমস্যা গুলো থাকলে কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করুন।

শেষ কথা : কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিসমিসের ভূমিকা অনেক। এই কিসমিস আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আজকে আমরা কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিভাবে কখন খাবেন তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি সম্পুর্ন বুঝতে পেরেছেন। 

আর কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদের যোগাযোগ পেজ ব্যবহার করুন। প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার প্রিয় মানুষের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রিয় পাঠক আজকের মতো এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url