আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আমরা অনেকেই জানি
না আপেল সিডার ভিনেগার কি এবং এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। অনেক মানুষ ওজন কমাতে
এই আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন
না।
আপনি যদি আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলে চলুন
আপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।
পেজ সূচিপত্র : আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা
- আপেল সিডার ভিনেগার বানানোর সঠিক নিয়ম
- আপেল সিডার ভিনেগার কিভাবে কতোটুকু খাওয়া উচিত
- সেরা আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারীতা
- আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়
- আপেল সিডার ভিনেগার এর দাম কত
- আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের সতর্কতা
- শেষ কথা : আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আপেল সিডার
ভিনেগার ( Apple cider vinegar ) সচেতন মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি নাম। অনেক
আগে থেকেই এই আপেল সিডার ভিনেগার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।এই
আপেল সিডার ভিনেগার রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই আপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে অ্যান্টি ক্যান্সার এর মতো
উপাদান। যা ক্যান্সার কোসগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। কিন্তু এটি ব্যবহার এর
নিয়ম ও সময় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এই আপেল সিডার ভিনেগার এর সঠিক গুন-গুন
পেতে হলে।
এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সঠিক সময় সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। নিয়ম অনুসরণ
করে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সঠিক সময় :
সকালে খালি পেটে
- প্রথমে একগ্লাস হালকা কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ভালো ভাবে মিশিয়ে খেলে নিন।
- সকালে খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে শরীরে থাকা এক্সট্রা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
- সকালে খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে শরীরের চর্বি, মেদ কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- আপেল সিডার ভিনেগার সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
দুপুরের খাওয়ার আগে
- দুপুরের খাওয়ার আগে একগ্লাস পানির সাথে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে নিন।
- আপেল সিডার ভিনেগার দুপুরে খাবার খাওয়ার আগে খেলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়।
- দুপুরে খাওয়ার আগে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে অতিরিক্ত ক্ষুধা কমিয়ে দেয়।
- ভাত বা অন্য অন্য ভারী খাবার গুলো খুব তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে।
রাতে ঘুমানোর আগে
- রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির সাথে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে নিন।
- রাতে ঘুমানোর সম্ভব হলে ৩০ মিনিট আগে আপেল সিডার ভিনেগার পান করুন।
- আপেল সিডার ভিনেগার রাতে খাওয়ার আগে খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
- রাতে ঘুমানোর আগে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে অনেক ভালো ঘুম হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আপেল
সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানা থাকলে খেতে সুবিধা হবে। আমরা অনেকেই
স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আপেল সিডার ভিনেগারকে খুবই কাছের করে নিয়েছি। আপেল
সিডার ভিনেগার খাওয়ার বেশ কয়েকটি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন আপেল সিডার ভিনেগার
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।
হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে : আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি
করতে সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে এবং
আমাদের পেটে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে জীবিত রাখতে সাহায্য করে। যাদের হজমে
সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত নিয়ম অনুসরণ করে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে হজমে সমস্যা
দূর হয়ে যাবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন
কমাতে সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনেগার এ থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরের মেদ,
চর্বি কমিয়ে শরীরের ওজন কমায়।
ত্বকের যত্নে : আপেল সিডার ভিনেগার ত্বকের যত্নে অনেক ভালো কাজ করে। আপেল
সিডার ভিনেগার খাওয়ার পাশাপাশি আপনি ত্বকেও ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার ত্বকের
ব্রণ ও কালোদাগ দূর করতে সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনেগার ত্বকের পি এইচ ঠিক রেখে
ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : আপেল সিডার ভিনেগার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা টাইপ -২ ডায়াবেটিস এ ভুগছেন তাদের এই আপেল সিডার
ভিনেগার খুবই ুউপকারী। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য
করে।
হৃদপিণ্ড রক্ষায় : আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের হৃদপিন্ডের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ । আপেল সিডার ভিনেগার আমার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
আপেল সিডার ভিনেগার বানানোর সঠিক নিয়ম
আপেল সিডার ভিনেগার বানানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আমরা অনেকেই
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি কিন্তু কিভাবে আপেল সিডার
ভিনেগার বানাতে হয়। এটা আমরা অনেকেই জানি না।তাহলে চলুন আপেল সিডার ভিনেগার
বানানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নি।
- প্রথমে ১২ টি আপেল ভালো করে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে চার টুকরা করে নিন।
- কেটে রাখা আপেলের রং বাদামি হওয়া পর্যন্ত রেখেদিন।
- আপেল গুলো বাদামি হয়ে গেলে একটি বড়ো কাঁচের পাত্রে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ হারে চিনি মিশিয়ে রেখে দিন।
- আপেল গুলো পানিতে পুরোপুরি ডুবিয়ে রাখতে হবে। এর পর ভিনেগার দুই চা চামচ ওপরে ছিটিয়ে দিন।
- এর পর ওপরে হালকা জাল বা টিস্যু কাগজ দিয়ে ঢেকে দিন। লক্ষ্য রাখবেন যেন বাতাস চলাচল করতে পারে।
- এভাবে ৩ সপ্তাহ রেখে দিন । এর মাঝে ২-১ দিন বের করে ভালো করে নেড়ে আবার রেখে দিন।
- এর পর ৩-৪ চার সপ্তাহ রেখে দেওয়ার পর দেখবেন আপেল পানি গুলো টক হয়েছে নাকি ।
- যদি টক হয় তাহলে আপনার আপেল সিডার ভিনেগার তৈরিৈ হয়ে গেছে।
আপেল সিডার ভিনেগার কিভাবে কতোটুকু খাওয়া উচিত
আপেল সিডার ভিনেগার কিভাবে কতোটুকু খাওয়া উচিত তা আমরা অনেকেই জানি না। আপেল
সিডার ভিনেগার আমরা কতোটুকু খাবো তা নির্ভর করে আপেল সিডার ভিনেগার কিসের জন্য
খাচ্ছেন। আপনি যদি ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করেন। তাহলে আপনাকে
অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিতে
পারেন। আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এই আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন ।
আরো পড়ুন :
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা
এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সারাদিনের
জন্য ২-৩ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগারই যথেষ্ট । এর বেশি খাওয়া উচিত হবে না। সব
কিছুর একটা মাপ রয়েছে । মাপ অনুযায়ী আপেল সিডার ভিনেগার খেলে শরীরের উপকার পাওয়া
যায়। আপেল সিডার ভিনেগার আপনি হালকা গরম পানির সাথে ও খাবারের অংশ সালাত এর সাথে
যোগ করে খেতে পারেন।
সেরা আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা
সেরা আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা এটা অনেকেরই প্রশ্ন। আমরা সবাই চাই বাছাই করে ভালো
জিনিসটা ব্যবহার করতে। আপনি চাইলে ঘরেও আপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করতে পারবেন।
আবার বাজারেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আপেল সিডার ভিনেগার রয়েছে। কিন্তু সব
ব্র্যান্ডের আপেল সিডার ভিনেগার গুলো ভালো হয় না। তাই আপনাদের কথা বিবেচনা করে
ভালো কয়েকটি ব্র্যান্ডের আপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো :
- Heinz unfiltered Apple cider vinegar
- Angry orchard
- Brag Apple cider vinegar
- Dynamic health organic Apple cider vinegar
- নন জিএম এবং অর্গানিক
- With the mother
- Brage organic
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারীতা
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারীতা সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খুবই ভালো কাজ করে। তাহলে
চলুন জেনে নি কোন কোন অসুখে আপেল সিডার ভিনেগার ভালো কাজ করে।
- ওজন কমাতে
- ত্বকের যত্নে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
- বদহজম দূর করতে
- গলা ব্যথা দূর করতে
- কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে
- পেটের সমস্যা দূর করতে
- রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ
আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়
আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায় এটা আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন । আপেল
সিডার ভিনেগার কতোদিন থাকবে এটা আসলে নির্ভর করে এর সংরক্ষণ বৈশিষ্ট্যের ওপর।
একটি পদার্থের pH মান ০থেকে ১৪ পর্যন্ত হয়। আপেল সিডার ভিনেগার এর pHমান২- ৩ হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের উপকার পেতে ব্যবহার করে থাকি।
আপনি যতো সুন্দর করে ভালে ভাবে আপেল সিডার ভিনেগার রাখবেন। ততো দিন এটি ব্যবহার
করতে পারবেন। এটি ফ্রিজে ব্যবহার করা উচিত নয় এতে ক্ষতি হতে পারে। আপেল সিডার
ভিনেগার সংরক্ষণ করে সঠিক নিয়ম হলো একটি কাঁচের পাত্রে একটি বন্ধ ঘরে সূর্যের
আলো থেকে দূরে স্বাভাবিক ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে। এভাবে সংরক্ষণ করলে অনেক দিন
ভালো থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগার এর দাম কত
আপেল সিডার ভিনেগার এর দাম কত আমরা অনেকেই জানি না। এখন বাজারেই বিভিন্ন জায়গায়
আপেল সিডার ভিনেগার পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে চায়।
কিন্তু এর সঠিক দাম জানি না।
আরো পড়ুন : রাতে কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা
দাম না জানলে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে তারা আপনাকে ঠকিয়ে দিবেন। এজন্য আপেল
সিডার ভিনেগার এর সঠিক দাম জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন আপেল সিডার
ভিনেগার এর দাম জেনে নি ।
ভিনেগার নাম | মিলি বা গ্রাম | টাকা |
---|---|---|
হেইঞ্জ ডিস্টিল্ড হোয়াইট ভিনেগার | ৪৭৩ মিলি - ইউকে | ৩৭৫ - ৪৫০ |
সাপোরিটো রেড গ্রেপ ভিনেগার | ৫০০ মিলি | ৭৩১ |
সাপোরিটো বালসামিক ভিনেগা | ৫০০ মিলি | ৬৫০ |
প্রাণ সিন্থেটিক ভিনেগার | ৩০০ মিলি | ৩৩ |
সাপোরিটো বালসামিক ভিনেগার | ৫০০ মিলি | ৭৩১ |
হেইঞ্জ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার | ৪৭৩ মিলি | ৩৭৫ |
আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের সতর্কতা
আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেই জিনিস এ উপকার রয়েছে
সেই জিনিস এ অপকারও রয়েছে । তাই অপকারীতা সম্পর্কে জেনে আপেল সিডার ভিনেগার
ব্যবহার করা উচিত । তাহলে চলুন আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অপকারীতা সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নি।
- অতিরিক্ত আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারে শরীরে ক্ষতি হতে পারে।
- কিছু কিছু মানুষের ত্বক পুড়ে যেতে পারে এবং পেট খারাপ হতে পারে।
- যেহেতু আপেল সিডার ভিনেগার একটি অ্যাসিডিক পানীয় তাই সরাসরি পান করলে দাঁত ক্ষয় ও অন্য অন্য সমস্যা হতে পারে।
- যারা প্যারালাইসিস এ আকান্ত তারা আপেল সিডার ভিনেগার পান করা থেকে দূরে থাকুন।
- যাদের শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা কম তারা এই আপেল সিডার ভিনেগার পান করা থেকে দূরে থাকুন।
- যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা এই আপেল সিডার ভিনেগার পান করা থেকে দূরে থাকুন।
- যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা এই আপেল সিডার ভিনেগার পান করা থেকে দূরে থাকুন।
ওপরের উল্লেখযোগ্য বিষয় গুলো মেলে আপেল সিডার ভিনেগার পান করুন। আপেল সিডার
ভিনেগার খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পান করুন। এভাবে নিয়ম অনুসরণ করে পান
করুন আর কোনো সমস্যা দেখা যায় তাহলে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করুন।
শেষ কথা : আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি । কখন কিভাবে
ব্যবহার করতে হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
রয়েছে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে চান
তাহলে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে আপেল সিডার ভিনেগার।
আরো পড়ুন : আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তবে এটি কোনো জাদুকারী ঔষধ নয় যে কয়েকদিন শুধু এটা ব্যবহার করলে সব কিছু ভালো হয়ে
যাবে। এটার পাশাপাশি সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে তাহলেই শরীর সুস্থ
থাকবে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন বুঝতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক আজকের
আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি সুন্দর কমেন্ট করে
যাবেন।
আপনার একটি কমেন্ট আমাকে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে লিখার অনুপ্রেরণা যোগায়। প্রিয়
পাঠক আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url