কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার নিয়ম ও ১২ টি উপকারিতা
কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কাঁচা ঢেঁড়স এ অনেক
ভিটামিন রয়েছে । এই ভিটামিন গুলো পেতে আমাদের খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স যোগ করতে পারি।
আপনি যদি কাঁচা ঢেঁড়স এর গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ
দিয়ে পড়ুন।
কাঁচা ঢেঁড়স এ রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কাঁচা ঢেঁড়স এ আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে । আপনি যদি কাঁচা ঢেঁড়স এর গুনাগুন
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই
পোষ্টে আমরা কাঁচা ঢেঁড়স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন কাঁচা ঢেঁড়স
এর উপকারিতা গুলো জেনে নি।
পেজ সূচিপত্র : কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার
অনেক উপকারিকা রয়েছে ।এই ঢেঁড়স এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Abelmoschus esculentus ।এই
ঢেঁড়স সর্বপ্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়াই। ঢ়েঁড়স একেক
জায়গায় একেক নামে পরিচিতি পেয়েছে ।
এই সবজিকে অনেক জায়গায় ভেন্ডি নামেও ডাকা হয়। এই ঢ়েঁড়স এমন একটি পুষ্টিকারী সবজি
যা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত আমরা ঢেঁড়স রান্না
করে খায়। কাঁচা ঢেঁড়স এর যে কতো উপকারীতা রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না। কাঁচা
ঢেঁড়স এ রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন :
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
আপনি যদি আপনার শরীরের রোগ মুক্ত রেখে শরীরকে সুস্থ রাখতে চান । তাহলে আপনার
প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স যোগ করতে পারেন। এই ঢেঁড়সে রয়েছে ভিটামিন ,
খনিজ, প্রোটিন ইত্যাদি যা আমাদের স্বাস্থের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি
কাঁচা ঢেঁড়স এর গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন
পড়তে থাকুন।
কাঁচা ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুন
কাঁচা ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কাঁচা ঢেঁড়স এর অনেক
পুষ্টি রয়েছে । এই পুষ্টিগুলো পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স
যোগ করতে হবে। তাহলে চলুন কাঁচা ঢ়েঁড়স এর পুষ্টিগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।
প্রতি ১০০ গ্রাম ঢ়েঁড়স এর পুষ্টিগুন
- প্রোটিন ১.৯ গ্রাম
- পানি ৮৯.৬ গ্রাম
- ফ্যাট ০.২ গ্রাম
- ক্যালরি ৩৩ গ্রাম
- চিনি ১.৪ গ্রাম
- কারর্বোহাইড্রেট ৭.৫ গ্রাম
- ফাইবার ৩.২ গ্রাম
ঢ়েঁড়সের খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন
ঢ়েঁড়সের খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কাঁচা ঢ়েঁড়স
আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার আগে এই সব ভিটামিন সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। তাহলে চলুন
কাঁচা ঢ়েঁড়স এর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ গুলো জেনে নি।
- ভিটামিন এ - ৩৬ মাইক্রোগ্রাম (দৈনিক প্রয়োজনের ৪%)
- ভিটামিন সি - ২৩ মিলিগ্রাম ( দৈনিক প্রয়োজনের ২৫%)
- ভিটামিন বি ৯ - ৬০ মাইক্রোগ্রাম ( দৈনিক প্রয়োজনের ১৫%)
- ভিটামিন কে - ৩১.৩ মিলিগ্রাম ( দৈনিক প্রয়োজনের ৩৯%)
- পটাসিয়াম ২৯৯ মিলিগ্রাম ( দৈনিক প্রয়োজনের ৮%)
- ভিটামিন বি৬ - ০.২ মিলিগ্রাম (দৈনিক প্রয়োজনের ১০%)
- আয়রন ০.৬২ মিলিগ্রাম (দৈনিক প্রয়োজনের ৭%)
- ক্যালসিয়াম ৮২ মিলিগ্রাম ( দৈনিক প্রয়োজনের ৮%)
- ম্যাগনেসিয়াম ৫৭ মিলিগ্রাম (দৈনিক প্রয়োজনের ১৪%)
কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার সঠিক নিয়ম
কাঁচা ঢেঁড়স খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কাঁচা ঢেঁড়স আমাদের
শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা ঢেঁড়স আমাদের শরীরের
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি,ভিটামিন কে,ভিটামিন বি আরো অন্য পুষ্টি উপাদান গুলোর
চাহিদা মেটায়।
আরো পড়ুন :
রাতে কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারীতা
তাই আমাদের নিয়মিত ঢ়েঁড়স খাওয়া উচিত। ঢ়েঁড়স খাওয়ার আগে ঢ়েঁড়স খাওয়ার সঠিক নিয়ম
গুলো আমাদের জানতে হবে। তাহলে চলুন ঢ়েঁড়স খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নি।
পরিস্কার করা : কাঁচা ঢ়েঁড়স গাছ থেকে তুলে এসে পরিস্কার পানিতে ১০ মিনিট
ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুতে হবে।
ঢ়েঁড়স কাটা : কাঁচা ঢ়েঁড়স পরিস্কার করা হয়ে গেলে ভালো করে ছোট ছোট টুকরো
করে কেটে নিন।ঢ়েঁড়স কেটে রান্না করলে এর অনেক বেশি গুনগুন পাওয়া যায়।
সালাদ : কাঁচা ঢ়েঁড়স সালাদ করেও খেতে পারবেন। অন্য অন্য সালাদের সাথে যোগ
করেও খেতে পারেন । সালাদ করে ঢ়েঁড়স খেলে এর অনেক গুনগুন পাওয়া যায়।
ভাজি করা : কাঁচা ঢ়েঁড়স ভাজি করেও খেতে পারেন । এজন্য কাঁচা ঢ়েঁড়স ছোট ছোট
চাকা আকারে কেটে নিন । পরিমান মতো তেল পেঁয়াজ , মরিচ হলুদ ইত্যাদি দিয়ে রান্না
করুন।কাঁচা ঢ়েঁড়স ভাজি করে খেলেও অনেক গুনাগুন পাওয়া যায়।
সিদ্ধ করা : কাঁচা ঢ়েঁড়স সিদ্ধ করে খেলেও অনেক গুনাগুন পাওয়া যায়। কাঁচা
ঢ়েঁড়স এ যা ভিটামিন রয়েছে সিদ্ধ করে খেলেও তা সবই পাওয়া যায়। কাঁচা ঢ়েঁড়স সিদ্ধ
করে খেলে হজম সহজ হয়।
খোলা সহ খাওয়া : কাঁচা ঢ়েঁড়স খোসা সহ খাওয়া যায়। কাঁচা ঢ়েঁড়স এ রয়েছে
অতিরিক্ত ফাইবার যা খোসা সহ খেলে সবই পাওয়া যায়।
অন্য খাবারের অংশ : কাঁচা ঢ়েঁড়স অন্য খাবারের এর অংশ হিসেবেও ব্যবহার করতে
পারবেন। কাঁচা ঢ়েঁড়স আপনি মাছ, মাংস ডিম, আলু, বেগুন ইত্যাদি খাবারের সাথেও যোগ
করে খেতে পারেন।
জুস তৈরি করে : কাঁচা ঢ়েঁড়স এর জুস তৈরি করেও খেতে পারবেন। কাঁচা ঢ়েঁড়স এর
জুস শরীরের জন্য খুবই ভালো । কাঁচা ঢ়েঁড়স এর জুস শরীরের হজম শক্তিকে সহজ করে শরীর
উন্নত করতে সাহায্য করে।
কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারীতা
কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারীতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কাঁচা
ঢ়েঁড়স আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা ঢ়েঁড়স এ রয়েছে ভিটামিন ,
প্রোটিন,ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের নিয়ম অনুসরণ করে খেতে হবে ।
নিয়ম অনুসরণ করে কাঁচা ঢ়েঁড়স খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার নিয়ম
গুলো ইতি মধ্যে আলোচনা করেছি।তাহলে চলুন জেনে নি কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার উপকারিতা
গুলো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে। কাঁচা ঢ়েঁড়স এ রয়েছে অ্যান্ট অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন । আরো অনন্য
ভিটামিন যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি
আমাদের শরীরের কাশি, জ্বর, ঠান্ডা ইত্যাদি থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করতে : কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের শরীরের হজমশক্তি উন্নত করতে
সাহায্য করে। কাঁচা ঢ়েঁড়স এ প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে । এটি মলকে নরম রাখতে
সাহায্য করে এতে হজম তাড়াতাড়ি হয়।
গর্ভাবস্হায় সহায়ক : কাঁচা ঢ়েঁড়স গর্ভবতী নারীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
এটি গর্ভবতী মায়ের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্র
গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের যত্নে : ত্বকের যত্নে কাঁচা ঢ়েঁড়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা ঢ়েঁড়স
এ রয়েছে ভিটামিন সি আরো অন্য অন্য পুষ্টিগুন। যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের কোষগুলোকে পুনর্জীবিত করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে : কাঁচা ঢ়েঁড়স ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন
করে।কাঁচা ঢ়েঁড়স এ রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার কোসগুলোকে ধ্বংস করতে
সাহায্য করে। বিশেষ করে স্তন, কোলন এই ধরনের ক্যানসার গুলো প্রতিরোধে এটি অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে : কাঁচা ঢ়েঁড়স এ রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ যা
চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে সুন্দর করতে
সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকি দূর করে চুল পড়া কমায়।
ওজন কমাতে : কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করো। কাঁচা
ঢ়েঁড়স এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের শরীরে কে অনেক খন পেটকে ভরিয়ে
রাখতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খেতে ইচ্ছে করবে না এতে সহজেই আপনার ওজন
করে যাবে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে
সাহায্য করে।কাচাঁ ঢ়েঁড়স এ রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পলিফেনলস যা আমাদের
শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : কাচাঁ ঢ়েঁড়স আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। কাঁচা ঢ়েঁড়সে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাড় সুস্থ রাখতে : কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের শরীরের হাড় সুস্থ রাখতে বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। কাঁচা ঢ়েঁড়স এ রয়েছে ভিটামিন,ক্যলসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি
যা আমাদের হাড়ের গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কাচাঁ ঢ়েঁড়স খেলে কি এলার্জি হয়
কাঁচা ঢ়েঁড়স খেলে কি এলার্জি হয় এটা অনেকেই প্রশ্ন করেন। আসলে কাঁচা ঢ়েঁড়স এ
এলার্জি হয় না। কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা ঢ়েঁড়স
খেলে আমাদের শরীরের সকল রোগ মুক্ত করা যাবে।কাঁচা কাঁচা ঢ়েঁড়স খেলে কিছু মানুষের
আ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুন :
আমলকীর উপকারীতা ও অপকারীতা
যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই ঢ়েঁড়স একটু দেখে খাবেন। কোনো সমস্যা দেখা
দিলে সাথে সাথে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহন করুন। এছাড়াও আপনি যদি প্রথম বার এর মতো
ঢ়েঁড়স খেতে যান তাহলে আগে একটু চেক করে নেওয়া উচিত ।
কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার কিছু সর্তকতা
কাঁচা ঢ়েঁড়স কিছু সতর্কতা রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না।যদিও কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার
উপকারিতা অনেক।কিন্তু কিছু সময় এই কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে
থাকে। যেই জিনিস এ ভালো হয় সেই জিনিস এ ও একটু হলেও ক্ষতিকর হয়। তাই ঢ়েঁড়স খাওয়ার
আগে এই সব সর্তকতা গুলো অবলম্বন করা উচিত । তাহলে চলুন কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার
সর্তকতা গুলো জেনে নি।
- যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের কাঁচা ঢ়েঁড়স অতিরিক্ত খেলে পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
- যাদের পেটে ব্যাথা , গলা ফুলা রোগ রয়েছে তারা এই কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের শরীর , নাক,মুখ ইত্যাদিতে সমস্যা হতে পারে।
- যাদের অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা এই কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।
- যাদের ডায়রিয়া হয়েছে তারা কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।
- গর্ভবতী মায়েদের নতুন খাবার কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার আগে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।
যদিও কাঁচা ঢ়েঁড়স আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এটি কিছু সময় ক্ষতিকর
হতে পারে। সবার জন্য ক্ষতিকর না হলেও কিছু কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ।
তাই কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার আগে াঅবশ্যই কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো জানতে
হবে। কাঁচা ঢ়েঁড়স খেয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ
করতে হবে।
শেষ কথা : কাঁচা ঢ়েঁড়স খাওয়ার উপকারিতা
পুষ্টিগুনে ভরপুর একট সবজি হলো ঢ়েঁড়স । যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এই ঢ়েঁড়স খেতে পারেন। এই ঢ়েঁড়স আপনার শরীরের
বিভিন্ন রোগ মুক্ত করতে সাহায্য করবে। ক্যানসার এর মতো রোগের কাজ করে এই
ঢ়েঁড়স।
তাই আপনার শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত আপনার খাবার তালিকায় এই ঢ়েঁড়স যোগ করতে পারেন।
কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করুন। প্রিয় পাঠক আজকের এই
আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে কাঁচা ঢ়েঁড়স খেতে হবে, কোন কোন রোগের জন্য
খুবই উপকারী তা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন।
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল টি যদি আপনার একটও উপকারে হসে থাকে তাহলে
একটি সুন্দর কমেন্ট করে যাবেন। আপনার একটি কমেন্ট আমাকে নতুন কিছু নিয়ে লিখতে
অনোপানিত করে। প্রিয় পাঠক আজকের মতো এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ
হাফেজ।
দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url