ডালিম বা বেদানা খাওয়ার নিয়ম ও ১০ টি উপকারিতা জানুন


 ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। লাল টসটসে রসে ভরা সুস্বাদু একটি ফল ডালিম। এই ডালিম ফলে রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই পোষ্টে আমরা ডালিম ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
ডালিম-খাওয়ার-উপকারিতা
ডালিম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই পুষ্টিগুন গুলো পেতে হলে আপনাকে ডালিম ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলে চলুন ডালিম ফল খাওয়ার উপকারিতা গুলো বিস্তারিত জেনে নি।

পেজ সূচিপত্র : ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ডালিম একটি পুষ্টিকারী ফল। ডালিম এর ইংরেজি নাম হলো পোমেগ্রানেট। ডালিম ফল দেখতে যেমন সুন্দর লাল টসটসে । এই ফল খেতেও তেমনি সুস্বাদু। এই ডালিম ফল আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডালিম-খাওয়ার-উপকারিতা
ডালিম একটি প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য সম্পদ। অনেক আগে থেকেই এই ডালিম ফল মানুষ বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে গ্রহণ করে আসছে। ডালিম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিতি পেয়েছে । এই ডালিম বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। যেমন : ডালিম,বেদেনা, আনার ইত্যাদি । এই ডালিম ফল প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়। 
এই ডালিম আপনার শরীরে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো রোগের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই ডালিম এ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আপনার শরীরের রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। এই ডালিম রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা আমাদের শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতা রোধ করতে ডালিম খেতে পারেন। 

ডালিম এর আরো অনেক গুলো উপকারীতা রয়েছে । আপনি যদি ডালিমের উপকারীতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পুন্ন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ডালিমের পুষ্টিগুন

ডালিমের পুষ্টিগুন গুলো আমরা অনেকেই জানি না। ডালিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এই ডালিমে রয়েছে ভিটামিন সি,ভিটামিন কে,ফাইবার, পটাসিয়াম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ডালিমের সঠিক পুষ্টি পেতে অবশ্যই আমাদের পুষ্টিগুন গুলো জানা উচিত । তাহলে চলুন ডালিমের পুষ্টি গুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।

প্রতি ১০০ গ্রাম ডালিমের পুষ্টিগুন
  • ভিটামিন সি ১৭% ( দৈনিক প্রয়োজনের)
  • ভিটামিন কে
  • ক্যালোরি ৮৩ গ্রাম
  • ফ্যাট ১.১৭ গ্রাম
  • ফাইবার ৪ গ্রাম
  • প্রোটিন ১.৬৭ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট ১৮.৭ গ্রাম
  • পটাসিয়াম ২৩৬ মিলিগ্রাম

ডালিম খাওয়ার ১০ টি শারীরিক উপকারীতা

ডালিম খাওয়ার ১০ টি শারীরিক উপকারীতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ডালিম খাওয়ার অনেক গুলো শারীরিক উপকারীতা রয়েছে। ডালিম একটি প্রাকৃতিক পুষ্টিকারী ফল। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ফল আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন ডালিম খাওয়ার ১০ টি শারীরিক উপকারীতা গুলো বিস্তারিত জেনে নি।
হজমশক্তি উন্নত করে : ডালিম আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার । এই ফাইবার আমাদের শরীরের হজমশক্তি উন্নত করে। আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : ডালিমে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা, কাশি, জ্বর এবং সাধারণ সংক্রমণ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : ডালিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রক্তনালী গুলোকে পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। এতে আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। এই ডালিম আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল ( এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে : ডালিম আমাদের শরীরের রক্তের একটি ভালো উৎস। ডালিম এ প্রচুরপরিমাণ আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : ডালিম আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডালিমে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

হাঁড় ভালো রাখে : আমাদের শরীরের প্রতিটি হাঁড়ের সংযোগ স্থলে কার্টিলেজ নামে তরুনাস্হি থাকে। যা আমাদের হাঁড় গুলোকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। ডালিমের রসে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরের হাঁড়ের সংযোগস্থল গুলোকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে : ডালিম আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডালিমে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোস গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। সাধারণত কোলন, প্রোস্টেট,স্তন এই ধরনের ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে এটি বেশি কাজ করে।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে : ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফ্রি র‍্যাডিকেল নামক প্রক্রিয়ায় স্নায়ু কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে : ডায়রিয়া প্রতিরোধে ডালিম রস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়রিয়া হলে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি ও লবন বের হয়ে যায়।এই ডালিম ফলের রস খেলে আস্তে আস্তে আমাদের শরীর ঠিক হয়ে যাবে।

ডালিম খাওয়ার সৌন্দর্যগত উপকারিতা

ডালিম খাওয়ার সৌন্দর্যগত উপকারিতাগুলো অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ডালিম ফল খাওয়ার সৌন্দর্যগত কিছু উপকারিতা রয়েছে সেগুলো আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন ডালিম খাওয়ার সৌন্দর্যগত উপকারীতা গুলো বিস্তারিত জেনে নি।
নখ ও ত্বকের যত্নে : ডালিম ফল আমাদের শরীরের ত্বক ও নখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ডালিম ফলের রস আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

চুলের যত্নে : ডালিম আমাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। ডালিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি আমাদের চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। চুল উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যবান করে তোলে।

ডালিম খাওয়ার সঠিক উপায়

ডালিম খাওয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ডালিম খাওয়ার আগে ডালিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম অনুসরণ করে ডালিম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ডালিম খাওয়ার সেরা সময় সকালে ও দুপুরে খাবার খাওয়ার আগে। সকালে খালি পেটে ডালিম খেলে এর অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ডালিমের রস করেও খেতে পারেন।
  • সালাদের সাথে মিশিয়ে আপনি ডালিম ফল খেতে পারেন।
  • আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের খাবার এর সাথেও এই ডালিম ফল যোগ করে খেতে পারেন। যেমন : খির, পায়েস ইত্যাদি ।
  • আপনি চাইলে সরাসরি দানা চিবিয়েও খেতে পারেন। এজন্য একটি সুন্দর ডালিম ফল ভেঙে তার ভেতর থেকে ডালিমের কোয়া গুলো আলাদা করে চিবিয়ে খেলে পারেন।
  • আপনি চাইলে ডালিমের রস করেও খেতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটা সুন্দর ডালিম ফল ভেঙে তার ভেতর থেকে ডালিমের কোয়া গুলো আলাদা করে এর থেকে রস বের করে খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় ডালিম বা বেদানার কার্য়কারিতা

গর্ভাবস্থায় ডালিম বা বেদানার কার্য়কারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। মহিলাদের সবচেয়ে কঠিন সময় হচ্ছে গর্ভপাতের সময়। এ সময় তাদের খাবার ও চলাচলের নিয়ন কানুন মেনে চলতে হয়। এ সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ফলমূল খেতে হয়। 

এই পুষ্টিকর ফল এর মধ্যে ডালিম অন্যতম। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের অনেক রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রায় অনেক সময় দেখা যায় রক্ত স্বল্পতাই অনেক গর্ভবতী মা মারা যায়।গর্ভাবস্হায় আপনি যদি নিয়ম অনুসরণ করে ডালিম বা বেদানা খেতে পারেন। তাহলে আপনার রক্তস্বল্পতা হবেনা । এই ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা আমাদের শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। 

ডালিম বা বেদানার জুস পান করলে গর্ভবতী মায়ের যেমন উপকার হয়। তেমনি অগত সন্তানেরও রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করে বাচ্চা সুস্থ রাখে। একটা কথা অনেকেই জানতে চান যে গর্ভবতী মায়েদের ডালিম বা বেদানা কখন খাওয়া উচিত। গর্ভবতী মায়েদের ডালিম বা বেদানা খাওয়ার নিদিষ্ট কোনো সময় নেই।

দিনের যে কোনো এক সময় খাওয়া যাবে। সকালে , বিকেলে , দুপুরে তবে রাতে গর্ভবতী মায়েদের ডালিম বা বেদানা খাওয়া উচিত নয়। কারণ রাতে গর্ভবতী মায়েরা ডালিম বা বেদানা খেলে এসিড রিফ্লেক্স এর মতো কঠিন সমস্যা হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েদের দিনের বেলায় ডালিম ফল খাওয়া উচিত।

ডালিমের পরিচিতি

ডালিমের পরিচিতি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ডালিম কি বা এটা দেখতে কেমন আমরা অনেকেই জানি না। এই ফলের নাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয় । যেমন : ডালিম, বেদানা, আনার ইত্যাদি । এই ডালিম এর ইংরেজি নাম হলো Pomegranat। এই ডালিম এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Punica granatum।এই ডালিম সর্বপ্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিলো ইরান। 

সেখান থেকেই আস্তে আস্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পরে । আমাদের দেশেও প্রায় সব জায়গায়ই এ ডালিম পাওয়া যায়। এই ডালিম গাছের উচ্চতা ৫ থেকে ১০ মিটার বা ১৬ থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতা হয়ে থাকে। এই ডালিম গাছের একাধিক শাখা রয়েছে । এই শাখা গুলোতে প্রচুর কাটা রয়েছে। একটি গবেষণার নমুনায় দেখা গেছে একটি ডালিম বা বেদানা গাছ ২০০ বছরেরও বেশি সময় বেঁচে থাকে।

 ডালিমের লাল রঙের সুন্দর ফুল হয়। এই ফুলে ৫-৭ টি পাপরি থাকে। এই ফুল থেকেই লাল বা বেগুনি রঙের ডালিম ফল হয়। এই ডালিমের বাহিরের অংশ চারিদিকে একই হয়। আর ভেতরের অংশে অনেক গুলো পাচির থাকে। এর মধ্যে সুন্দর করে সাজানো দানা থাকে। এগুলোই খেতে হয়।

ডালিম বা বেদানার মধ্যে পার্থক্য কি

ডালিম বা বেদানার মধ্যে পার্থক্য কি এটা অনেকেই জানতে চেয়েছেন । আসলে ডালিম আর বেদানার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নাই। ডালিম হচ্ছে দেশীয় শব্দ । আর বেদানা বা আনার হচ্ছে বিদেশি শব্দ। তবে অঞ্চল ভেদে এর নাম একেক জায়গায় একেক নামে পরিচিতি পেয়েছে। ডালিম আর বেদানার পুষ্টিগুন একই। 

কিন্তু ডালিম এর থেকে বেদানা একটু মিষ্টি বেশি এবং আকারে বড়ো হয়। ডালিম ফল সেই আদিম কাল থেকে মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে আসছে। ডালিম বা বেদানার পুষ্টিগুন নিয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই । কারণ এর পুষ্টিগুন অন্যন্য।বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের এই ডালিম বা বেদানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

ডালিম খাওয়ার কিছু সতর্কতা

ডালিম খাওয়ার কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদিও ডালিম একটি পুষ্টিকারী উপাদান । এর অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। আমরা জানি যে জিনিস এ উপকার হয় সেই জিনিস এ অপকারও রয়েছে । তাই সব কিছু বিবেচনা করে কিছু মানুষের সমস্যা হতে পারে । সমস্যা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
  • অতিরিক্ত ডালিম ফল খেলে আমাদের রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
  • যাদের শরীরে অ্যালার্জি রয়েছে ডালিম খেলে তাদের সমস্যা হতে পারে তাই তারা ডালিম কম করে খাবেন।
  • অতিরিক্ত বেশি ডালিম ফল খেলে ডায়রিয়া হতে পারে তাই বেশি খাবেন না।
  • যারা মানসিক রোগী বা তাদের নিয়মিত ঔষধ চলতেছে তারা ডালিম খাবেন না। এতে সমস্যা বাড়তে পারে।
  • আপনি যদি রক্ত পাতলা করার ঔষধ খেতে থাকেন তাহলে ডালিম খাবেন না এতে সমস্যা হতে পারে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করুন।

শেষ কথা : ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

এতোক্ষণ আমরা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি । কিভাবে কখন খেতে হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ডালিম ফল আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে এই ডালিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ করে এই ডালিম ফল আমাদের গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এই ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা মা ও শিশুর রক্ত তৈরি করে সুস্থ রাখে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি বুঝতে পেরেছেন । 

আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকারে এসে থাকে তাহলে একটি কমেন্ট করে যাবেন । আপনার একটি কমেন্ট আমাকে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে লিখতে উৎসাহিত করে । প্রিয় পাঠক আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • akash0920
    akash0920 ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ এ ১০:৪৪ AM

    ভাইয়া আপনার পোস্টটি থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url