কলমি শাকের ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এই কলমি শাকে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কলমি শাকের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
কলমি-শাকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
কলমি একটি আশঁ জাতীয় খাদ্য যা আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এই কলমি শাকের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু অপকারিতা রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পেজ সূচীপত্র : কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকের কাছে এখনো অজানা। কলমি শাক আমাদের সবার পরিচিত একটি সবুজ শাক। এই কলমি শাকে রয়েছে পুষ্টি গুনে ভরপুর। গ্রাম বাংলার প্রায় সকল জায়গায় কম বেশি এই কলমি শাক পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে শহরেও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে এই শাকের। কলমি শাক একটি জলজ উদ্ভিদ। এই কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম ipomoea aquatical।
কলমি-শাকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
এই কলমি শাক মূলত জলাশয়ের আশেপাশে যেমন : পুকুর পাড়ে,খালের পাড়ে, নদীর তীরে, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় তাড়াতাড়ি বড়ো হতে থাকে। এই কলমি শাকের ডাটা খুবই নরম আর ভেতরে ফাঁপা হয়, আর এর পাতা বেশ লম্বাটে হয়ে থাকে। আপনি যদি কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কলমি শাকের উপকারিতা

কলমি শাকের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কমলি শাক আমরা সবাই কমবেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। কলমি শাক খাওয়ার আগে উপকারিতা গুলো জানা উচিত, তা হলে চলুন কলমি শাকের উপকারিতা গুলো জেনে নি।

১. পুষ্টিগুনে ভরপুর

এই কলমি শাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান এ সমৃদ্ধ। এই কলমি শাকে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি, আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

এই কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ( ফাইবার) যা আমাদের শরীরের হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. হাড় শক্তিশালী করে

কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা আমাদের শরীরের হাড় এর গঠন শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

৪. রক্তশূন্যতা দূর করে

এই কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন যা আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে এই কলমি শাক।

৫. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়

এই কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন বি ও আয়রন যা আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে মস্তিষ্কের কার্য়কারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপাদান গুলো আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য কলমি শাক খুবই উপকারী একটি শাক। এই কলমি শাকে রয়েছে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে সাহায্য করে।

৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে

এই কলমি শাক আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য কলমি শাক খুবই উপকারী একটি খাবার। এই কলমি শাকে কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা অনেকখন পেটের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৮. লিভার সুস্থ রাখে

এই কলমি শাক আমাদের লিভারের জন্য খুবই উপকারী। এই কলমি শাকে থাকা উপাদান গুলো লিভারের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এই কলমি শাক যকৃৎ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৯. ত্বকের জন্য উপকারী

এই কলমি শাকে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বক নরম ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।

১০. চোখের জন্য উপকারী

এই কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত এই কলমি শাক খেলে রাতকানা ও অন্য অন্য চোখের সমস্যা দূর হয়।

কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম

কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে এই উপকার তখনই পাওয়া যাবে, যখন আমরা এই কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। তাই কলমি শাক খাওয়ার আগে কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত। নিচে কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম গুলো দেওয়া হলো :

১. শাকের তাজা অবস্থা

কলমি শাক রান্নার আগে তাজা ও সবুজ শাক বেছে নিন।নষ্ট বা শাকের হলুদ হয়ে যাওয়া অংশ গুলো ফেলে দিন।

২. ভালো ভাবে ধুয়ে নিন

কলমি শাক রান্না করার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এজন্য একটি বড়ো পাত্রে পানি রেখে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নিন। কারণ এই শাকে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও মাটি লেগে থাকে।

৩. রান্নার পদ্ধতি

পানি থেকে উঠিয়ে সুন্দর করে কেটে রান্না করুন। এই কলমি শাক সাধারণত ভাজি, ঝোল ভাপা ইত্যাদি করে খাওয়া হয়। আপনি যেভাবেই রান্না করুন না কেন অল্প তেল ও মসলা দিয়ে অল্প সময় ধরে রান্না করুন। কেননা বেশি তেল- মসলা দিলে এর গুনাগুন নষ্ট হতে পারে।

৪. পরিমাণে খাওয়া

কলমি শাক রান্না করা হলে অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণ মতো খান। অতিরিক্ত কলমি শাক খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের কিডনির ও রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে।

৫. কারা খেতে পারবে

বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য এই কলমি শাক খুবই উপকারী। তবে এই কলমি শাক খাওয়ার আগে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহন করুন।

যাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ তারা এই কলমি শাক খেতে পারেন এই কলমি শাক ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান

কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের জানা উচিত। এতোখন কলমি শাকের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই কলমি শাকে অসাধারণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই কলমি শাক ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের প্রধান উৎস। এই কলমি শাকে ভিটামিন সি রয়েছে আমাদের ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান গুলো জেনে নি। নিচে কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান গুলো দেওয়া হলো :

প্রতি ১০০ গ্রাম রান্না করা কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান
পুষ্টি উপাদান পরিমান
ক্যালোরি ৩০-৪০ ক্যালোরি
ভিটামিন C ১০-১২ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৫-৭ গ্রাম
আয়রন ২-৩ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৩০-৪০ মিলিগ্রাম
চর্বি ০.৩-০.৫ গ্রাম
প্রোটিন ৩-৪ গ্রাম
পটাশিয়াম ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন A ২০০০-৩৫০০ IU (আই.ইউ)
ফোলেট (ভিটামিন B9 ১০০-১৫০ মাইক্রোগ্রাম
ক্যালসিয়াম ৫০-৭০ মিলিগ্রাম
ফাইবার ৩-৪ গ্রাম

কলমি শাকে কি এলার্জি আছে

কলমি শাকে কি এলার্জি আছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আবার অনেকেই এলার্জির সমস্যার কারণে কলমি শাক খেতে চান না। আসলে কলমি শাক খেলে যে আপনার এলার্জির সমস্যা হবে বিষয়টা এমন নয়। তবে কিছু কিছু ব্যাক্তির কলমি শাক খেলে এলার্জির সম্ভবনা দেখা দিতে পারে। এই এলার্জির কারণে কিছু কিছু মানুষের হাত, পা, ত্বক, পেট, গলা ইত্যাদি জায়গা চুলকানি হয়ে ফুলে যেতে পারে।
তবে এই কলমি শাকে অক্সালেট থাকে যা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে হালকা চুলকানি বা এলার্জির সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং নিরাপদ। তবে যাদের আগে থেকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে , তারা কলমি শাক খাওয়ার আগে একজন ভালো পুষ্টিবিদ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহন করুন।

কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে

কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কলমি শাকে রয়েছে সকল ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কলমি শাকের এই ভিটামিন গুলো পেতে হলে আমাদের অবশ্যই নিয়মিত কলমি শাক খেতে হবে। তাহলে চলুন কলমি শাকের ভিটামিন গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

১. ভিটামিন এ : ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস এই কলমি শাক। এই কলমি শাকে থাকা ভিটামিন এ আমাদের চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।

২. ভিটামিন সি : এই কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন সি। এই কলমি শাকে থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

৩. ভিটামিন কে : এই কলমি শাক ভিটামিন কে এর ভালো উৎস। এই কলমি শাকে থাকা ভিটামিন কে আমাদের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এবং আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

৪. ভিটামিন বি - কমপ্লেক্স : এই কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন B1 ( থায়ামিন) , B2(রিবোফ্লাভিন), B3(নায়াসিন),। B9 ( ফোলেট) থাকে যা আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ও রক্ত সঞ্চালনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও এই কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা আমাদের শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস, ফাইবার ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। এই সময় একজন গর্ভবতী নারীকে পুষ্টিকারী সবজি খেতে হয়। কলমি শাক হতে পারে গর্ভবতী নারীর জন্য সেরা এই সবজি। গর্ভবতী নারীর জন্য কলমি শাক খাওয়া যেমন নিরাপদ এবং তেমনি রয়েছে এর অসাধারণ উপকারিতা। তবে নিদিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে। এই কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন ফইবার যা গর্ভবতী মা ও বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • কলমি শাক আয়রনের একটি ভালো উৎস। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর প্রচুর পরিমাণ রক্তের ঘাটতি দেখা যায়। এই কলমি শাকে থাকা আয়রন গর্ভবতী নারীর রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর অনেক ধরনের রোগ দেখা যায়।এই কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা গর্ভবতী নারীর রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় অনেক সময় দেখা যায় গর্ভবতী মা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছে। এই কলমি শাকের রয়েছে ফাইবার ও অন্য অন্য পুষ্টি উপাদান যা গর্ভবতী মাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
  • এই কলমি শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা মা ও বাচ্চার হাড় ও দাতঁ সুস্থ এবং শক্ত রাখতে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় অনেক সময় দেখা যায়,গর্ভবতী নারীর উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে কলমি শাক খেতে পারেন, এই কলমি শাকে রয়েছে পটাসিয়াম যা রক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কলমি শাক (Water Spinach) যা আমাদের শরীরের রক্ত চাপের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই কলমি শাকে রয়েছে ফাইবার ও পটাসিয়াম যা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই কলমি শাকে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের রক্তনালি প্রসারিত করতে সাহায্য করে, এতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
এই কলমি শাক আমাদের শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দেয় যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই কলমি শাকে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার যা আমাদের রক্তনালী সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে যাদের লো ব্লাড প্রেসার তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো এতে সমস্যা হতে পারে। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করুন কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।

কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা

কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু কিছু সময় আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি কর হতে পারে। তাহলে চলুন কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।
  • কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণ অক্সলেট ( Oxalate)থাকে যা আমার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা আগে থেকেই কিডনির সমস্যাই ভুগছেন তারা সাবধানে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহন করুন।
  • এই কলমি শাকে প্রচুর আঁশ রয়েছে যা অতিরিক্ত খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, হজমে সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।
  • কিছু কিছু মানুষের কলমি শাক খেলে অ্যালার্জি,চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বিশুদ্ধ ভাবে ধুয়ে রান্না করলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এছাড়াও কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
  • এই কলমি শাক আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের আগে থেকে নিম্ন রক্তচাপ তাদের রক্ত চাপ আরো কমিয়ে দিতে পারে। এতে ক্ষতি হতে পারে।
  • অনেক সময় এই কলমি শাক জলাশয় বা দূষিত এলাকায় থেকে খেলে শরীরে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে।

শেষ কথা : কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কলমি শাক পুষ্টিকারী এবং স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও পরিমাণ এর বেশি খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা, কিডনির সমস্যা, নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে তারা সাবধানে কলমি শাক খান।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আরো কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ও আলোচনা করেছি। আপনি যদি কলমি শাক খেতে পছন্দ না করে থাকেন তাহলে সুস্বাস্থ্যের জন্য হলেও কলমি শাক খাওয়া শুরু করুন। 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকারে এসে থাকে তাহলে একটি সুন্দর কমেন্ট করে জানাবেন। প্রিয় পাঠক আজকে এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা ফ্রিল্যান্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url